পানাজি: আজ গোয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত । সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। সোমবার মধ্যরাতে শপথ হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। ইতিমধ্যেই দলীয় বিধায়কদের পাঁচ তাঁরা হোটেলে সরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত সোমবার রাত ২টো নাগাদ গোয়ার একাদশতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার প্রমোদ সাওয়ান্ত। সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পরই আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সবন্ত মুখ্যমন্ত্রীপদে শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শক্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন।৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় আপাতত ৩৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। মনোহর পর্রিকরসহ দুই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। ২ বিধায়ক কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন। ৩৬ আসনের মধ্যে ১৪ জন রয়েছে কংগ্রেসের। ১২ জন বিধায়ক আছে বিজেপির হাতে। অর্থাৎ, এককভাবে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু সরকারে ছিল বিজেপি জোট। তাদের সঙ্গে ছিল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ও নির্দলের ৩ জন করে বিধায়ক। অর্থাৎ ১২+৯=২১ জন বিধায়ক রয়েছে বিজেপি-র হাতে।
পর্রীকরের মৃত্যুর পর টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গোয়ায়। পরিস্থিতি সামাল দেন সভাপতি অমিত শাহ। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত পার্টির সুদীন ধাবালিকর এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির বিজয় সারদেশাই মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি করেছিলেন। পরে দুজনকেই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়।শুধু তা-ই নয়, সমর্থনকারী নয় বিধায়কের মধ্যে আট জনকেই মন্ত্রী করতে হয়েছে। এই টোপেই সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং নির্দলরা। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই বিজেপির। এত দিন যে চিন্তা গুজরাত এবং কর্নাটকে কংগ্রেসকে করতে হয়েছে, সেটাই এ বার গোয়া বিজেপিকে করতে হচ্ছে। তাদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিতে পারে কংগ্রেস, এই আশঙ্কা থেকেই মঙ্গলবার রাতে বিধায়কদের ৫-তারা রিসর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি।আস্থাভোটের জন্য তাঁদের সোজাসুজি বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, এই রিসর্ট রাজনীতির সূচনা ২০১৭ সালে গুজরাত থেকে। এক ঝাঁক কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন। এই পরিস্তিতিতে গুজরাত থেকে জিতে রাজ্যসভা সাংসদ হওয়া কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যায় কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের। শেষে বাকি কংগ্রেস বিধায়কদের কর্নাটকের একটি রিসর্টে পাঠিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচে কংগ্রেস।গত বছর থেকে এই ছবিটা আরও বেশি করে ফুটে উঠছে কর্নাটকে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার থেকে বিজেপি মাত্র ৭-৮টা বিধায়ক পেছনে রয়েছে। কোনো রকমে জোট সরকার টিকিয়ে রেখেছে কংগ্রেস-জেডিএস। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি মাঝেমধ্যেই চেষ্টা করছে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে দলে নিয়ে আসার। যখনই সেই উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে, তখনই রিসর্ট রাজনীতি ফিরে আসছে রাজ্যে।