পানাজি: টিকে গেল গোয়ার বিজেপি সরকার। কুড়ি জন বিধায়কের সমর্থন পেয়ে আস্থা ভোটে জিতে গেলেন গোয়ার নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রিকরের মৃত্যুর পর সোমবার গভীর রাত ২টোয় গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। তারপর মঙ্গলবার অনাস্থার প্রস্তাব আনেন গোয়ার কংগ্রেস বিধায়করা। বুধবার আস্থাভোটে ৩৬ জন বিধায়কের মধ্যে ২০ জন বিধায়ক সমর্থন জানায় বিজেপিকে। ফলে আপাতত, গোয়ার ক্ষমতা বিজেপির হাতেই থাকল।
গোয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে আছেন ২১ জন বিধায়ক। এর মধ্যে বিজেপির ১২ বিধায়ক ছাড়াও আছেন গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি), মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) তিন জন করে বিধায়ক। এ ছাড়া তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও বিজেপির পাশেই ছিল বলে জানা যাচ্ছে সংবাদসংস্থা সূত্রে।বিরোধী কংগ্রেসের নিজেরই আছে ১৪ জন বিধায়ক। ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় দুই বিধায়কের মৃত্যু এবং দুই কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগ করার কারণে এখন বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬।
রবিবার বিজেপির জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পর থেকেই গোয়ার দখল নিয়ে শুরু হয় চরম দ্বন্দ্ব। এত দিন নিজের ক্যারিশমা দিয়ে শরিক দলের বিধায়কদের বিজেপি জোটের মধ্যে রাখতে সফল হয়েছিলেন মনোহর পর্রীকর। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই নতুন দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি শরিক এবং নির্দল বিধায়কেরা। অন্য দিকে বিধানসভার বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গঠনের দাবি তোলে কংগ্রেসও।পরিস্থিতি সামাল দিতে শরিক এবং নির্দল বিধায়কদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠকে বসে বিজেপি।প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন নিতিন গড়কড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হয়ে ওঠেন একাধিক শরিক নেতা। প্রত্যেকেই চাপ বাড়াতে থাকে বিজেপির উপর।শেষপর্যন্ত প্রমোদ সাওয়ান্তের নাম চূড়ান্ত হয়। সোমবার গভীর রাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মঙ্গলবার সকালে কাজেও যোগদান করেন। তখনই জানা গিয়েছিল, বুধবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হবে বিজেপির। সেই পরীক্ষায় জিতল বিজেপি।পাশাপাশি জোট অটুট রাখতে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী রাখা হবে, এমনটাও জানিয়েছে বিজেপি। দুই উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন জিএফপি-র বিজয় সরদেশাই, এমজিপি-র সুধীন দাভালিকার।