চিটফান্ড মামলায় ৭ দিনের মধ্যে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের, চাপে রাজীব কুমার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: চাপে পড়ে গেলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার রাজীব কুমারকে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। চিট ফান্ড মামলায় ৭ দিনের মধ্যে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজীব কুমারকে গ্রেফতারির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আর্জি জানায় সিবিআই। সেই প্রসঙ্গে এ দিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মন্তব্য করেন, “প্রয়োজনে গ্রেফতারির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে”। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, সারদাকাণ্ডের তদন্তের জন্য সিটের প্রধান থাকাকালীন অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও বিকৃত করেছেন রাজীব কুমার। পাশাপাশি সাক্ষীদেরও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজীব কুমার, এই অভিযোগও করছে সিবিআই। তাই তাঁকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহারের আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ ছিল, যতবারই রাজীব কুমারের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা কথা বলেছেন, কোনওবারই তিনি সত্যি কথা বলেননি। বরং প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কথায় তদন্তকারীদের সন্দেহ হয় যে তিনি কাউকে আড়াল করতে চাইছেন। চিটফান্ড মামলায় এর আগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চের সামনে একটি স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছিল সিবিআই। যা পড়ে তখন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, রাজীব কুমার সম্পর্কে আপনারা যে অভিযোগ করেছেন, তা তো খুবই গুরুতর। এর পর তো আর চোখ বুজে থাকা যায় না। তার পরেই আদালত জানিয়েছিল, সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টের মাধ্যমে যা চেয়েছে তা যেন হলফনামা আকারে আদালতে পেশ করে। তার পর তা দেখে রাজ্য এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের হলফনামা পেশ করবে।

উল্লেখ্য, সারদা তদন্তে সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সিটের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করে সিবিআই। ২ ফেব্রুয়ারি সারদাতদন্তে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে তাঁর বাসভবনে পৌঁছোয় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। তার পরই কলকাতা পুলিশ বনাম সিবিআই দ্বন্দ্বে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এর পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শিলংয়ে টানা জেরা চলে রাজীব কুমারের। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার না করার ব্যাপারে আদালতের ‘রক্ষাকবচ’ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। কিন্তু জেরায় কী তথ্য উঠে এসেছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেয়।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest