চেক দিচ্ছি, ভোট দিতেই হবে মিমিকে,ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার হুমকি ভিডিয়ো ভাইরাল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: ভিআইপি কেন্দ্রে বিস্ফোরক অভিযোগ। যাদবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর জন্য ভোট চেয়ে সরকারি চেক বিলি করার অভিযোগ তুলল বিজেপি। যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা শুধু অভিযোগ তোলাই নয়, পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্যের ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য ‘নিউজ কর্নার’ যাচাই করে দেখেনি।

ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অফিসে ‘কৃষকবন্ধু’র চেক বিলি করছিলেন প্রধান। বারে বারেই তার মুখে শোনা যাচ্ছিল হুমকি। লোকসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট না দিলে সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা আর মিলবে না। ভোটটা তৃণমূলকেই দিতে হবে। না হলে কেড়ে নেওয়া হবে কৃষকদের পরিচয়পত্র। ভবিষ্যতে মিলবে না কৃষকবন্ধুর চেক। মৃত্যুর পর পরিবার পাবে না ক্ষতিপূরণও। অভিযোগ, ভোটের দিন বুথের ভিতরে যাতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও বিরোধী দলের প্রার্থী না বসতে পারেন সে বিষয়েও হুমকি দেন ওই তৃণমূল নেতা। চেক বিলির সময়ে কৃষকদের ভোটার পরিচয় পত্রের ফটোকপিও রেখে দেন তিনি।

ওই পঞ্চায়েতে সব গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার ভোটার রয়েছে। সব ভোট যাতে তৃণমূলের বাক্সে পড়ে সে ব্যাপারে পঞ্চায়েতে দাঁড়িয়ে নির্দেশ দেন মুদাস্সর। তিনি জানান, এটা লোকসভা নির্বাচন। তাই অন্য দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে না। না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে নিতেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগের বার প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল করে নিয়েছি। লোকসভা বলে সেটা সম্ভব নয়।’’

গোটা ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোগালী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাস্সর হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবে বলে জানিয়েছে বিরোধীরা।যাদবপুর কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কীভাবে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে এই চেক বিলি করা হচ্ছে? এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবো”। একই সুরে কথা বলেছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, “সারা রাজ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস এই ভাবে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের টাকা কীভাবে ভোটের আগে বিলি করা হচ্ছে? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। এত উন্নয়ন করেছেন তো সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়ে কেন ভোট চাইতে হচ্ছে? আসলে তৃণমূল বুঝে গেছে এবার আর তাদের কেউ ভোট দেবে না সেই কারণে এইসব করে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কমিশনে নিশ্চয়ই অভিযোগ জানাবো।”

https://www.facebook.com/anupam.hajra.71/videos/124571025370240/?t=4

মুদাস্সরের এ দিনের ‘নির্দেশ’ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।অন্যদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর সাধারণত সরকারি প্রকল্পের কোনও চেকই বিলি করা যায় না। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে কমিশন। এ দিন রাজ্যের অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘আমাদের মিডিয়া ওয়াচের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে এসেছে। জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।’’

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest