#নয়াদিল্লি: ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বিতর্কে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই মর্মে তিন পাতার একটি হলফনামাও বুধবার শীর্ষ আদালতে জমা দেন রাহুল।
যুদ্ধবিমান রাফাল কেনা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীদের। ভোটের প্রচারে দীর্ঘদিন ধরেই নাম না করে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চোর বলতে ছাড়ছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু, রাফাল ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রথমে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে আবার রাফাল সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি ফাঁস হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, রাফাল নথি চুরি হয়ে গিয়েছে। সেই চুরি যাওয়া নথিকেই প্রামাণ্য ধরে রাফাল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আগের রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানান মামলাকারীরা। কেন্দ্রের আপত্তি খারিজ করে সেই আরজি মেনেও নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সেই রায়কে হাতিয়ার করে মোদীর বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। প্রকাশ্য জনসভায় দাবি করেন যে, সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী চোর! আর তার জেরেই বিপাকে পড়েছেন রাজীব-তনয়। আদালতের পর্যবেক্ষণের ভুল ব্যাখ্যার অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে বিজেপি। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু, আদালত তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি। উলটে রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির কাছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানতে চেয়েছিলেন, ‘আমরা কবে প্রধানমন্ত্রীকে চোর বললাম!’ উত্তরে সিংভি জানান, রাহুল নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখিত। এটা আমার ভুলে হয়েছে। আমি ওকে ভুল বুঝিয়েছিলাম।’ শুধু তাই নয়, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি হলফনামা দেওয়ার অনুমতিও চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর আইনজীবী। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন দ্বিতীয়বার হলফনামা জমা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী।