#নয়াদিল্লি: ভোটের সময় গোপনে নাকি এনডিএ বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা। ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী তাঁদের সেরকমই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার জানা গেল, ভোটের ফল বেরনোর দিন, অর্থাৎ আগামী ২৩ মে দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন সনিয়া।
ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনকে ইতিমধ্যেই চিঠি লিখেছেন তিনি। সূত্রের খবর, জনতা দল সেকুলার, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, এবং উত্তরপ্রদেশে জোটে থাকা দুই দল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীকেও চিঠি দিয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন। চলতি নির্বাচনে প্রচারপর্বে জোরদার লড়াইয়ে নেমেছেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সেদিক থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে সনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার ইউপিএ-র শরিক ডিএমকে জানিয়েছে, তাদের নেতা এম কে স্ট্যালিন সনিয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কংগ্রেসের ধারণা, ভোটে কেউ গরিষ্ঠতা পাবে না। তাই কমলনাথের মতো নেতা বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েক, ওয়াই এস কংগ্রেসের জগন রেড্ডি এবং টিআরএসের কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। ভোটের পরে কী শর্তে জোট হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কংগ্রেস ধরেই নিচ্ছে, লোকসভায় কোনওভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এনডিএ। দলের অভ্যন্তরীন সমীক্ষা বলছে ভাল ফল করবে কংগ্রেসও। তবে, সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যার ধারেকাছে যেতে পারবে না রাহুল গান্ধীর দল। তাই বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একত্রিত করার কাজ শুরু করেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ বলে দিয়েছেন, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী যে রাহুলকেই করতে হবে তার কোনও মানে নেই। সবাই যে নামে একমত হতে, তাতে তাদেরও আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নীতি পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছি। দেশের জনগণ যদি কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দেয়, তাহলেই কংগ্রেস নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হল যেভাবে সম্ভব এনডিএ জোটের ক্ষমতায় ফেরা আটকানো। আমরা জনগণের সিদ্ধান্তই মেনে নেব। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? তাই কংগ্রেস কখনই বিরোধে যাবে না। এরকম হবে না যে, কংগ্রেস থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী না করা হলে আমরা অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেব না।’ আসলে, সনিয়ার নির্দেশেই গুলাম নবি বিরোধী শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছেন।
তবে জগন রেড্ডি কীভাবে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। তাঁর বাবা ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি আগে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে জগন কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান। নিজের দল ওয়াই এস আর কংগ্রেস তৈরি করেন। অন্ধ্রে বিধানসভা ভোটে জগনের প্রধান প্রতিপক্ষ তেলুগু দেশমের চন্দ্রবাবু নায়ডু। জগন যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন, নায়ডু সম্ভবত অসন্তুষ্ট হবেন।