#মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। বুধবার রাতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম কাঞ্চন চক্রবর্তীর দাবি, বুথফেরত সমীক্ষায় ফের এনডিএ ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত পেয়েই তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। যদিও বিজেপির দাবি, গত চার বছরে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন কাঞ্চন। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই জনরোষের শিকার।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ শালবনির ভাদুতলায় তৃণমূল নেতা কাঞ্চন চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলা হয়। শুধু তাঁর বাড়িই নয়, আশেপাশের তিন-চারটি বাড়ি ও দুটি দোকানঘরে ভাঙচুর চলে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার অভিযোগ, রাতে অস্ত্র হাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে বিজেপি আশ্রিত ৩৫ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার দিতে বলে তারা। রাজি না হওয়ায় তৃণমূল নেতা কাঞ্চন চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে কাঞ্চনের মাথা ফেটে গিয়েছে। রাতে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালে ভরতি কাঞ্চন। দলের নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংরা। নেপালবাবু বলেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কাঞ্চনের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে শাসকদলের নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়। তাঁর পালটা দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কাঞ্চন চক্রবর্তী। জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি।