ইসলামাবাদ: ভারতের টোম্যাটো রফতানি বন্ধের জবাব পাকিস্তান পরমাণু বোমা দিয়ে দেবে । এমন ‘হুমকি’ দিয়েছেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক। এমনকি, ‘মোদী-রাহুল গাঁধীর মুখে’ টোম্যাটো ছুড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন ওই সাংবাদিক। নিজের সহজাত নাটকীয় ভঙ্গিতে ‘হুমকি’ ওই সাংবাদিক। বলেছেন,’ ভারত খুব নীচ ও খারাপ কাজ করছে। সময় এসে গিয়েছে। আমরা টম্যাটোর জবাব দেব অ্যাটম বোমা দিয়ে।’আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা পেয়ে গিয়েছেন হাসির খোরাক।
নেটিজেনদের একটা বড় অংশ শুরু করেছে তাঁকে নিয়ে ট্রোল করা। কেউ বলছেন, এটা শতাব্দীর সেরা জোক। কেউ বলছেন, আর একটা জোক শোনান প্লিজ। কেউ বা আবার পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল নিয়েই মন্তব্য করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই সব টিভি চ্যানেলগুলো ভারতীয়দের মজা দেওয়ার জন্যই খোলা হয়।শুধু ভারতেরই নয়, পাকিস্তানেরও কেউ কেউ এই সাংবাদিকের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দিন দিন কমেডি শোয়ে পরিণত হচ্ছে।
ভইরাল হওয়া ভিডিওতে নজর কেড়েছে ওই সাংবাদিকের অদ্ভুত কায়দায় কান ধরে বার বার ‘তৌবা তৌবা’ বলার বিষয়টিও। একজন লেখেন, ২ মিনিট ২০ সেকেণ্ডের ভিডিওতে পাক সাংবাদিক ১৮ বার ‘তৌবা তৌবা’ বলেছেন৷ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান। যার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের থেকে ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশান’এর তকমাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান থেকে আমদানীকূত পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বূদ্ধির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে নিষেধ করা না হলেও এদেশের বহু সবজি উৎপাদক পাকিস্তানে খাদ্যপণ্য পাঠাতে নারাজ।
কিন্তু সত্যিই কি পুলওয়ামা কান্ডের পর পাকিস্তানে টমেটো পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে ভারত? বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে অন্য এক পাক সংবাদ মাধ্যমে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশিরভাগ পণ্যই ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করে। কিন্তু, ওয়াঘায় নিযুক্ত পাকিস্তানের এক ডেপুটি কাস্টম কালেক্টর ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের পর থেকে ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে উৎপাদিত কোনও সবজিই পাকিস্তানে প্রবেশ করেনি। তাই পুলওয়ামা কাণ্ডের পর ভারত সম্প্রতি পাকিস্তানে টমেটো সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে এই তথ্য সঠিক নয়।
"Tamatar ka jawab atom bomb se de gay." So much trash on our tv channels #TaubaTaubapic.twitter.com/2myeGCvECw
— Naila Inayat (@nailainayat) February 23, 2019