#দুবাই: স্কুল বাসের মধ্যে ঘুমিয়েই রইল একটি বাচ্চা, লক্ষ্যই করলেন না চালক! অন্যান্য সবাই নেমে গেলেও রয়ে গেল শিশুটি। কোনও খোঁজ নিল না স্কুল কর্তৃপক্ষও। শনিবার দুবাইয়ে কয়েক ঘণ্টা স্কুল বাসের মধ্যে আটকে থেকে মৃত্যু হল ৬ বছরের এক পড়ুয়ার। মহম্মদ ফারহান নামে ওই শিশুর বাবা-মা আদতে কেরলের বাসিন্দা। তাদের ব্যবসা রয়েছে দুবাই।
দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার সময় বাকি বাচ্চাদের বাসে তোলার সময়ই ওই বাচ্চাটিকে খুঁজে পায় বাসের চালক এবং কেয়ারটেকার। অচেতন অবস্থায় বাচ্চাটিকে পড়ে থাকতে দেখেই সন্দেহ হয় সকলের। এরপরেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অনুমান, অতক্ষণ বদ্ধ জায়গায় থাকার ফলে শ্বাসরোধ হয়ে বা শ্বাসকষ্টেই মৃত্যু হয়েছে ফারহানের।
পুলিশ জানিয়েছে, আদতে কেরলে বাসিন্দা ফারহান। তবে তার বাবার কেরলের পাশাপাশি দুবাইতেও ব্যবসার রমরমা রয়েছে। আর সেই জন্যেই পরিবারের সঙ্গে দুবাই চলে এসেছিলেন ফারহান। ভর্তি হয়েছিলেন সেখানকারই ইসলামিক সেন্টারে। কিন্তু সেই স্কুলে যাওয়ার সময়েই ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে ফারহান ছিল সবচেয়ে ছোট্ট। বাড়ির ছোট ছেলের এমন অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে ফারহানের গোটা পরিবার। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন তার মা-বাবাও।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ছোট্ট ফারহানের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, রিপোর্ট হাতে পেলেই বাচ্চাটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ইতিমধ্যেই বাসের চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাকে আটকও করা হয়েছে। যেখানে বাস চালকের উপর এতজন বাচ্চার দায়িত্ব থাকে, সেখানে তিনি কী ভাবে এতটা দায়িত্বজ্ঞান হলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্কুলবাস এবাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাদের অভিভাবকরা।
এর আগে আবু ধাবিতেও ২০১৪ সালে এই ধরনেরই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানকার অল ওয়ারুদ অ্যাকাডেমির কেজি-১-এর পড়ুয়া নিজাহ আলাকেও এ ভাবেই বাসে বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন বাসচালক। তার অসাবধানতা এবং বেখেয়ালি আচরণের জন্য মারাত্মক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল ওই শিশুটি। তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। শেষে মারা যায় বাচ্চাটি। গত বছরও দীর্ঘক্ষণ বদ্ধ স্কুল বাসে আটকে থাকার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এক স্কুল পড়ুয়া। তবে বরাত জোরে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল বাচ্চাটি।