তুমুল বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, বজ্রপাতে মৃত ২

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে জলীয় বাষ্পের মিশেলে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়ে ঝড়বৃষ্টি যে হতে পারে, সেটার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া ছিল। সেইমতো, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়ার ওপরে মেঘপুঞ্জ তৈরি হতে শুরু করে। সেই মেঘই বিকেল সওয়া পাঁচটা নাগাদ কলকাতার দিকে চলে আসে। শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৮ কিমি।

পার্কস্ট্রিট, ধর্মতলা, বিবাদী বাগ সহ শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গাছ উপড়ে গিয়েছে। তবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুরকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা সাফ করে দিয়েছেন বলেও খবর মিলেছে। মেয়ো রোডে উপড়ে গিয়েছে বাতিস্তম্ভ এবং ট্রাফিক সিগন্যালের পোস্ট। শেক্সপিয়ার সরণিতে গাছ উপড়ে রাস্তা আটকে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন অফিসফেরত মানুষজন। কালবৈশাখীর দাপটে রানাঘাট ও বনগাঁ শাখা ছাড়া, শিয়ালদহ মেন লাইনের বাকি অংশে ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে রেল পরিষেবা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কোথাও ছিঁড়েছে ওভারহেড তার। কোথাও বা রেললাইনে পড়েছে গাছ। বজবজ লাইনেও ওভারহেডের তার ছিঁড়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রেন। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছেন বহু যাত্রী। ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনেও ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এদিন প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয় সন্ধ্যার পর থেকেই। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদীয়া সহ একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বুদবুদে বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টি স্থায়ী হবে না। আগামী দিনগুলিতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest