Site icon The News Nest

দল চাইলে দাঁড়াতেই পারি ভোটে, জানালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা

Priyanka Gandhi 3

লখনউ: উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনার গুরুদায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে।যদি দল চায়, তবে তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতেও পারেন বলে বুধবার জানালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা । যদিও এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

দেশের গরিব পরিবারগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসিক ছ’হাজার টাকার ভিত্তিতে বছরে ৭২ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ন্যায় প্রকল্পের প্রস্তাব রেখেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ বারের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ওই প্রকল্প চালু করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সেই প্রকল্পের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়েই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন? জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, কেন নয়? তারপরই যে সাংবাদিক তাঁকে এই প্রশ্নটি করেছিলেন তাঁর দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস নেত্রী বলে ওঠেন, এমনকি আপনিও ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে আরও একটু খোলসা করার ব্যাপারে তাঁকে চাপ দেওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার দল যদি চায় যে আমি এই লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করি, তবে আমি নিশ্চিতভাবে লড়াই করব”।

৪৭ বছরের প্রিয়ঙ্কা সদ্য যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাংগঠনিক দেখভালের। রাজনীতিতে নবীন হলেও প্রচারে তাঁর জনসভায় লোক উপচে পড়ছে দেখার মতোই। এ দিন দাদা রাহুলের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠিতে প্রচারে যান প্রিয়ঙ্কা। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর যোগ দেওয়ার কথা মা সনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র রায়বরেলিতে।এই প্রথমবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রকাশ্যে জানালেন যে, তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে ইচ্ছুক। গত জানুয়ারিতেই প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন রাজীব-তনয়া। এর আগে তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতেন অমেঠি ও রায়বরেলিতে রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীর জন্য প্রচারের কাজে।রাজনীতিতে পা রাখার পর প্রথমে জল্পনা চলছিল যে তিনি সনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায়বরেলি থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। সেই জল্পনাকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উড়িয়ে দেওয়ার পর জল্পনা শুরু হয় প্রিয়াঙ্কা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসী থেকে মোদীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াবেন। সেই জল্পনাকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় কংগ্রেস।

 

 

Exit mobile version