নয়াদিল্লি : দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে স্পর্শকাতর তথ্যও জানাতে হবে।বৃহস্পতিবার রাফাল মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করা হল সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। রাফাল চুক্তির ফাইল আইনত গোপন নথি। সেই নথি ফাঁস হয়ে গেলেও তাকে রাফাল মামলায় হাতিয়ার করা যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্র। এদিন সেই দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে রাফাল রায় পুনর্বিবেচনা নিয়ে রায় মুলতুবি রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে অবশ্য শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্রের প্রাথমিক আপত্তির নিষ্পত্তি হলে তবেই মামলার বিশদে যাওয়া হবে।
রাফাল চুক্তির ফাইলের কিছু নথি ফাঁস হওয়ায় দেখা গিয়েছে, ফ্রান্সের সঙ্গে দর কষাকষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর নাক গলিয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেই তাতে আপত্তি ওঠে। সেই নথিকে হাতিয়ার করেই নতুন করে রাফাল-এ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রাফাল তদন্তের দাবি নাকচ করে দিলেও যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, প্রশান্ত ভূষণরা সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন। কেন্দ্রের যুক্তি, অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই নথি গোপন। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল যুক্তি দেন, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন সবার উপরে। অ্যাটর্নি জেনারেলের যুক্তির বিরোধিতা করে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, রাফাল সংক্রান্ত নথি ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়ে গিয়েছে এবং জনসমক্ষেই রয়েছে। “প্রতিটি নথি জনসমক্ষে রয়েছে। আদালত কী করে তা অস্বীকার করতে পারে?”
বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেন, ‘‘তথ্যের অধিকার আইন বলছে, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলায় স্পর্শকাতর সংগঠনের গোপন তথ্যও জানাতে হয়।আরটিআই বিপ্লব এনে ফেলেছে। ২০০৯-এ কেন্দ্রই বলেছে, সরকারি ফাইলের নোটিং-ও তথ্যের অধিকার আইনে প্রকাশ করা যায়। এখন আর পিছু হটা উচিত নয়।’’