নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: দুধ খেতে ভালো লাগে না? এমনকি দইও নো-পসন্দ! তা হলে তো খুব মুশকিলের ব্যাপার। কিন্তু শরীরকে সুস্থ, চাঙ্গা রাখতে হলে কিছু প্রোটিনযুক্ত খাবার তো খেতেই হবে।
দুধ ও দই খেতে যখন এতই অরুচি পনির তো খাওয়া যেতেই পারে। আবার অনেকেই মনে করেন, পনির খেলে ওজন বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কিন্তু এই ভ্রান্ত ধারণা বাদ দিয়ে জেনে নেওয়া যাক চিকিৎসকদের মতামত।পুষ্টিবিদ অঞ্জু সুদের মতে, ‘পনির খেলেই মোটা হয়ে যাবেন। এই ধারণাটি সম্পূর্ণই ভুল। ১০০ গ্রাম পনিরে রয়েছে কম করে ১৮.৩ গ্রাম প্রোটিন, ২০.৮ উপকারী ফ্যাট, ২.৬ গ্রাম মিনারেল, ১.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। বরং পনির খেলে ওজন কমে। তাই ভয় না পেয়ে নিশ্চিন্তে আপনার ডায়েট চার্টে পনির খেতেই পারেন।‘
১। এনার্জির ঘাটতি দূর হয়-
আজকাল কি কারণে-অকারণে বেজায় ক্লান্ত লাগছে? তা হলে ডায়েটে ২-৩ দিন পনির খান। পনির খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাবে এনার্জির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
২। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়-
যারা মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না তাঁরা অনায়াসে পনির খেতে পারেন। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হবে।
৩। ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে-
অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তা হলে ডায়েট চার্টে পনির তো রাখতেই হবে। কারণ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি খেলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর ওজন কমতেও বেশি সময় লাগে না।
৪। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে-
অল্পতেই যাঁদের গ্যাস-অম্বল হয়ে যায়, তাঁরা নিয়মিত পনির খেলে দারুন উপকার পেতে পারেন।
৫। মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়-
পনিরে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা শক্তিকে বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে যাতে এনার্জির ঘাটতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।