নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: কৃষ্ণগহ্বর কী, কেমন দেখতে তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ ছিল না জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। সেই কৌতুহল সামান্য হলেও নিরসন হল আজ। নাসার ক্যামেরার লেন্সে ধরা দিল বহু প্রতিক্ষিত সেই কৃষ্ণ গহ্বর। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যেমনটা কল্পনা করেছিলেন তার থেকেও সুন্দর সেই ছবি। উজ্জ্বল রক্তিম আলোর ঘূর্ণি। যার মাঝে অংশ গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকারকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে উজ্জ্বল রক্তিম আভা।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি এই রক্তিম উজ্জ্বল আলো আসলে সাদা রঙের গরম গ্যাস এবং প্লাজমার ঘূর্ণি। দেখে মনে হবে কোনও শিল্পীর তুলিতে আঁকা একটি সংখ্যা। প্রায় ১৮ শতাব্দী আগে আমাদের ছায়াপথে একটি উজ্জ্বল বিন্দুকে প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।তারপর থেকেই সেই উজ্জ্বল বিন্দুকে জানার জন্য চলেছে গবেষণা। কিন্তু কিছুতেই সেই কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছিলেন না তাঁরা। ২০ বছরের মধ্যে সব কটি নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করে ফেলছে সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র। অথচ তুলনামূলকভাবে আমাদের সৌরমন্ডলের ছায়াপথকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ২ কোটি ৩০ লক্ষ বছর। বিজ্ঞানী স্টিফএন হকিং তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় এর গবেষণাতেই কাটিয়েছিলেন। নাসার টেলিস্কোপ বার বার সেই কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। অবশেষে প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। পৃথিবী থেকে মাত্র ২৬০০০ আলোকবর্ষ দূরের কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে সফল হয়েছে নাসার দৈত্যাকাল টেলিস্কোপ।