নীরব মোদীকে ফেরাতে দিল্লির অনুরোধ আদালতে পাঠাল ব্রিটেন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : এতদিন শোনা যাচ্ছিল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক দুর্নীতির মূল চক্রী নীরব মোদী  অ্যান্টিগায় ঘাঁটি গেড়েছেন।  কিন্তু শনিবার চাঞ্চল্যকরভাবে তার দেখা মিলল লন্ডনের রাস্তায়। তার পরেই নড়েচড়ে বসল বিদেশ মন্ত্রক। জানানো হল, হিরে ব্যবসায়ী মোদীকে ভারতের হাতে দ্রুত প্রত্যর্পণের যে অনুরোধ জানানো হয়েছিল  তা আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কের দুর্নীতি সামনে আসার আগেই দেশ ছেড়ে পালান নীরব মোদী। শুক্রবার তাঁকে লন্ডনের রাস্তায় দেখা যায় একেবারে নতুন ভাবে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পুরু গোঁফ। ব্রিটেনের দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর দাবি, তিনি পরেছিলেন উটপাখির চামড়ার তৈরি একটি জ্যাকেট যার দাম কমপক্ষে ৯ লাখ টাকা। ওই দৈনিকের খবর, ২০০ কোটি ডলারের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদী এখন রয়েছেন লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড এলাকায়।   সেন্টার পয়েন্ট টাওয়ার ব্লকে, ৮০ লক্ষ পাউন্ড মূল্যের তিন শয়নকক্ষের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকছেন নীরব। যার ভাড়া মাসে আনুমানিক ১৭ হাজার পাউন্ড। অর্থাৎ ভারতীয মুদ্রা অনুযায়ী ১৫ লাখ টাকারও বেশি। লন্ডনে তিনি হিরের নতুন একটি ব্যবসাও শুরু করেছেন। দ্যা টেলিগ্রাফ একটি ভিডিও টুইট করেছে। সেখানে নীরব মোদীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন ওই দৈনিকের সাংবাদিক। কিন্তু কোনও জাবাব দেননি নীরব মোদী। নো কমেন্টস বলে এড়িয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সরকার জানে নীরব মোদী ব্রিটেনে রয়েছেন। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে ব্রিটেনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি এখন ব্রিটিশ সরকারের বিবেচনাধীন। এরপর ইডি জানায়, নীরব মোদীকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের জন্য দিল্লির তরফে যে অনুরোধ জানানো হয়েছিল টেরেসা মে সরকারের কাছে, আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ সেই অনুরোধ লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্রিটেনের সরকারের তরফে দু’দিন আগে তা সরকারি ভাবে ইডিকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই ইডি এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)-র একটি যৌথ প্রতিনিধিদল লন্ডনে যাবে। নীরব মোদীর বিরুদ্ধে কেন ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার তদন্তের জন্য কেন ভারতের হাতে নীরব মোদীর দ্রুত প্রত্যর্পণ জরুরি, আদালতকে তা জানানোর জন্য আইনজীবীদের হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তুলে দেবে ইডি এবং সিবিআইয়ের যৌথ প্রতিনিধিদল।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest