নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটার আগে অস্বস্তি বাড়ল মোদী সরকারের। জানা গেল, নোটবন্দির পর নগদের লেনদেন প্রায় ১৯.১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, নোটবন্দির আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাজারে মোট নগদের পরিমাণ ছিল ১৭.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী দেখা গেছে কারেন্সি ইন সার্কুলেশন অর্থাৎ নগদ লেনদেন বেড়েছে ১৯.১৪ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ক্যাশলেস ইকনমি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দির সময় প্রতি ২৪ ঘন্টা অন্তর নিজের মন্তব্য পরিবর্তন করতেন। নোটবন্দির মত ঘটনাকে পরিণত করেছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কের মত। আবেগের সংলাপ বদলে বদলে যায় অনেকটা তেমনই ধরন ছিল প্রধানমন্ত্রীর। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে একথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেবার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্মতি দেওয়ার ৩৮ দিন আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নোটবন্দি হবে। নিজের এই সিদ্ধান্তের সুফল নিয়ে নির্দিষ্ট বিরতিতে তিনি নানা কথা বলেছেন। যার বিনোদন মূল্য থাকলেও অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মূল্য কানাকড়িও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এর মাধ্যমে তিনি একথা বুঝিয়েছিলেন গণতন্ত্র নয়,দেশ চলছে সংঘ ও বিজেপি নির্ধারিত নকশায়।
নোটবন্দির পর নরেন্দ্র মোদী কখনও বলেছেন হাতে আর টাকা পাবে না জঙ্গিরা ফলে নাশকতা বন্ধ হবে। কখনও বলেছেন জব্দ হবে পাকিস্তান। কখনও বা বলেছেন এর ফলে দেশজুড়ে শুরু হবে ক্যাশলেস ইকনোমি। অনলাইন ট্রানজেকশন বাড়লে দুর্নীতি কমবে।পরে নরেন্দ্র মোদী বলেন,নোট বাতিলের ফলে বেশি শুল্ক আদায় করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বর্তমান তথ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নগদে পরিমাণ কমার জায়গায় বেড়েছে।সরকার এবং আর বি আই দেশকে ক্যাশলেশ সোসাইটির দিকে ঠেলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিলে যে, সে প্রচেষ্টাও শেষ । দেশে ফের শুরু হয়েছে নগদের রমরমা। একথা ঠিক যে, নির্বাচনের আগে কাঁচা টাকা দরকার পড়ে সব দলের। এই বিষয়টির সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট হয়নি।