পঞ্জাবে বাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত বহু

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চন্ডিগড়: বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে মৃত্যু হল অন্তত ১৬ জনের। বহু মানুষ এবং ওই কারখানার কর্মীরা এখনও অবধি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই কারখানার অন্দরে। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৫০ জন ওই কারখানার ভিতরে রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গুরুদাসপুরের বাটালা এলাকা। কিছুক্ষণ পরেই বোঝা যায় বাজি কারখানাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তিন তলা কারখানা পুরোপুরি ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। বাজি কারখানাটি জনবহুল এলাকায় হওয়ায় আশপাশের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। অন্তত এক কিলোমিটার পর্যন্ত বহু বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। একটি ছোট গাড়ি এবং একটি বাইক উড়ে এসে ছিটকে পড়েছে রাস্তার উল্টো দিকে থাকা জলাশয়ে।

বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হলেও কেউ ভিতরে ঢুকতে সাহস করেননি। পরে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তার পর থেকেই একে একে কারখানার শ্রমিকদের মৃতদেহ বের করে আনতে শুরু করেন তাঁরা। পরে উদ্ধারকাজে যোগ দেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও। গুরুদাসপুরের মহকুমা শাসক দীপক ভাটিয়া নিশ্চিত করেছেন, অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকে কোনও কারণে আগুন লেগেই যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তবে আপাতত পুরো বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও কেউ আটকে আছেন কিনা, সেই প্রাধান্য উদ্ধারকারীদের কাছে। সেই কাজ শেষ করার পরই শুরু হবে তদন্ত।

এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তার সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব সরকারের বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবারই মুম্বইয়ের ওএনজিসি প্রকল্পের হিম ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে সাতজনের। তার কয়েক দিন আগেই ভস্মিভূত হয়ে যায় মহারাষ্ট্রের ধুলের একটি রাসায়নিক কারখানা। যে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩ জন। আহত হয়েছিলেন অন্তত ১০০ জন। বারবার আগুন লাগার ঘটনায় কারখানাগুলির অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও চিন্তায় ফেলছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest