পানাজি: অনেক দিনই ভুগছিলেন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে। গত ক’দিন ধরে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। রবিবার রাত আটটা নাগাদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দফতর সূত্রে ঘোষণা করা হয়, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যু হয়েছে। বয়স হয়েছিল ৬৩। আর এই ঘোষণা আরো বেশি চাপে ফেলে দেয় বিজেপিকে।পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে সেই নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর।
এক বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু এবং পর্রীকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি— এই দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে শনিবার রাতেই গোয়ায় সরকার গড়তে চেয়ে রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহাকে চিঠি দেয় রাজ্যের একক বৃহত্তম দল কংগ্রেস। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগম্বর কামাথের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা পরিস্থিতি বদলে দেয়। কামাথ বিজেপিতে যোগ দিলে অসুস্থ পর্রীকরের বদলে তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে আলোচনা শুরু হয় বিজেপিতে। রবিবার সকাল থেকেই জোটসঙ্গীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসে বিজেপি।কিন্তু মেলেনি রফাসূত্র। পারিক্করের মৃত্যু ঘোষণার পরও বন্ধ ঘরে চলতে থাকে দীর্ঘ বৈঠক। হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি।সোমবার ভোর ৪.৪০ নাগাদ সেই বৈঠকে যোগ দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীশ।
ভোর ৫ তা নাগাদ শেষ হয় বৈঠক। নিতিন গডকড়ি ও দল পর্যবেক্ষক বি এল সন্তোষকে নিজেদের কথা জানিয়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান জোটসঙ্গীরা। যদিও বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে সকলেই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। অপেক্ষমান সংবাদ মাধ্যমের সামনে ডিপিটি শিপাকে মাইকেল লোবো জানান, মহারাষ্ট্র গোমন্তক দলের নেতা সুধীন ধভলকর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।কিন্তু বিজেপি এতে রাজি হয়নি। দলীয় বিধায়করা দুজনের নাম নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা হলেন – স্পিকার প্রমোদ সাওয়ান্ত ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে। দুজনেই অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে আছেন।
জানা গিয়েছে, প্রয়াত পর্রীকরের অত্যন্ত কাছের লোক ছিলেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়াতে তিনি “মুখ্যমন্ত্রীর কান” হিসাবেই পরিচিত।পর্রীকরের হাতেই গড়ে উঠেছে সাওয়ান্তের রাজনৈতিক জীবন। অন্যদিকে রানে মুখ্যমন্ত্রী হলে সমর্থন জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্র গোমন্ত্রক এবং অন্যান্য নির্দল বিধায়করা। জোট শরিক এবং কংগ্রেসের চাপে নাজেহাল বিজেপি লোকসভার আগে কি করে নিজেদের গড় বাঁচায় সেটাই এখন দেখার।