Site icon The News Nest

পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী ছাড়াই চলল দেশ, আগামী পাঁচ বছরও কি তাই হবে?

LAst laughs

সৈয়দ আলি মামুন: এই দেশ বিনা প্রধানমন্ত্রীতে চলল পাঁচ বছর। শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ডঃ মনমোহন সিং।যাঁর ভদ্রতা ও সৌজন্য নিয়ে মস্করা করেছে বহুজন। মিতভাষী এই মানুষটি দীর্ঘ ১০ বছরে একটিও আপত্তিকর মন্তব্য করেননি। অর্থনীতিতে তাঁর পান্ডিত্ব অপরিসীম।হাততালি দিয়ে মিথ্যা প্রচার তাঁকে কোনওদিন করতে হয়নি। কিন্তু দেশের লোক তাঁকে পছন্দ করেনি। দেশের লোক চেয়েছিলো এমন প্রধানমন্ত্রী তিনি কাজ করুন কিংবা না করুন ভাষণ জবরদস্ত দেবেন। তাঁর ভাষণ হবে বিনোদনমূলক।

এলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে দেশ কেবল ভাষণই শুনছে। ভাষণ মানে আত্মপ্রচার আর বিদ্বেষ।বলিউড ছবিতে যেমন অযথা গান, নাচ ও মারামারি শুরু হয়ে যায় মোদীর ভাষণেই তেমনি চলে আসে পাক প্রসঙ্গ। জনগণকে অন্তত ভাষণে আমোদ তো দিতে হবে। নাহলে মানুষ ভাষণ শুনবে কেন।ভিড়ই বা করবে কেন। উন্নয়নের কথা মানুষ শুনতে চায়না। হাই তোলে। মোদী সম্ভবত মনমোহনের ভাষণ শুনে বুঝেছিলেন, মানুষ মস্করা চায়। বিদ্বেষ  ভাষণ শুনতে চায়।গুজরাট ফেরত মোদী তাই প্রধানমন্ত্রী না সেজে তিনি গোড়াতেই হয়ে উঠলেন চাওয়ালা। ভোটের ঠিক আগে তিনি হয়ে পড়লেন চৌকিদার।ফলে ৫ বছরে দেশ প্রধানমন্ত্রী পেলনা। তবে বিদেশ সফর নিশ্চয় তিনি চাওয়ালা সেজে করেননি। তার সুবাদেই কিছুদিন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছিল দেশ।যদি চাওয়ালা ও চৌকিদার ভোট এত জরুরি হতো, তাহলে সংসদ ও বিধায়কের জায়গায় চৌকিদার ও চাওয়ালা নির্বাচন হলেই তো বেশ হত। লোকসভায় এই প্রস্তাব অন্তত বিজেপির তোলা উচিত ছিল।সেক্ষেত্রে তারা অনন্ত নোটবন্দি ছাড়াও আর একটি সাফল্যের কথা বলতে পারতো।

তবে বিনা প্রধানমন্ত্রীকে চলে দেখিয়ে দিল দেশ । আম আদমি যাই ভাবুক একথা সত্য এবার প্রধানমন্ত্রী জরুরী। যিনি অযথা মিথ্যা কথা বলবেন না এমন প্রধানমন্ত্রী।যিনি কেবল গেরুয়া দলের নন সবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। যাঁর ভাষণ শুনে সংখ্যালঘুদের আতঙ্কে দিন কাটাতে হবে না. যিনি ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদীর’ পাশে দাঁড়াবেন না।যিনি দলের নেতাদের বিদ্বেষ ভাষণে অনুমোদন দেবেন না। এমন প্রধানমন্ত্রীর খুব দরকার।যিনি ধর্মকে ঢাল করবেন না এমন প্রধানমন্ত্রী চায়।

সত্যি কী এটা বাড়তি চাওয়া। গণতন্ত্রে কি সুস্থ নেতা আর হয় না. সবাইকে নিয়ে চলার কথা কি জনসভাতেও বলা বারণ। তাহলে কেন, হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি। চাওয়ালা ও চৌকিদারদের সবাই চিনি।তারা কেউ হিংসার কথা বলেননা।এমন মিথ্যাও বলেন না।তাঁদের নামের আড়ালেই বা এমন মিত্থাচার কেন ।যদি এমন মিথ্যা বললেই হয় তবে প্রধানমন্ত্রী সেজেই তা করুন, কাউকে হিসাবে ব্যবহার করে নয়।

Exit mobile version