#কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে থেকে টার্গেট মাফিক ৪২-এ ২৩ আসনে জয় পায়নি বিজেপি। তবুও আসন সংখ্যা দুই থেকে দুই সংখ্যায় নিয়ে যাওয়ার পুরস্কার স্বরূপ প্রায় হাফডজনের কাছাকাছি মন্ত্রী পেতে পারে বিজেপির বঙ্গ-ব্রিগেড।
শুক্রবার রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, গতবার মাত্র দু’টি আসনে বাংলা থেকে জয় পেয়েছিল দল। সে বারও দার্জিলিংয়ের তৎকালীন সাংসদ সুরেন্দ্র সিং অহলুওয়ালিয়া এবং আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয়কে নিজের মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার আসন সংখ্যা বেড়ে ১৮টি। ফলে মন্ত্রীর সংখ্যা আরও বাড়লে রাজ্যের জন্য দাবি আদায়ের কাজটা আরও সহজ হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য নেতৃত্ব।এখনও পর্যন্ত যা খবর, এ বারের মোদী-মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েও নিজের কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের ৪২টি আসনেই কম-বেশি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন। যে কারণে তাঁকে নিজের মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে পারেন মোদী। তবে দিলীপ ঘোষ মন্ত্রিসভায় গেলে তিনি রাজ্য সংগঠনের সভাপতি থাকবেন কিনা সেটা যেমন প্রশ্ন। তেমনই দলের মধ্যে এই মতও রয়েছে যে মুকুল রায়কে এখনই মন্ত্রী করা ঠিক হবে কিনা। শেষ পর্যন্ত যদি মুকুলকে মন্ত্রী করা হয়, তা হলে তাঁকে কেন্দ্রে পূর্ণ মন্ত্রীই করতে হবে। কারণ, এর আগে রেল মন্ত্রী ছিলেন মুকুলবাবু। ফলে তাঁকে এখন পূর্ণ মন্ত্রী না করলে মর্যাদাহানি হবে। তা ছাড়া মন্ত্রিসভায় নিয়ে এলে মুকুলকে রাজ্যসভার সদস্যও করতে হবে ৬ মাসের মধ্যে।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন হুগলির নবনির্বাচিত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বাঁকুড়ার সুভাষ সরকার। পাশাপাশি অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামণিক, জন বার্লার নাম নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আসন বদলের পরেও বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে জয়ী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকেও ফের দেখা যেতে পারে দ্বিতীয়পর্বের মোদী-মন্ত্রিসভায়।