নয়াদিল্লি: প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে চরম বিসৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দলীয় অফিস। পড়েছে পোস্টারও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।জানা গিয়েছে, ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদী জনসভা করবেন আগামী ৩ এপ্রিল।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি দফার আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে একাধিক সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপির। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ— এই তিন জনই এ বারের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রচারক।আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু না জানানো হলেও রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, মোদী এবং শাহ প্রত্যেক দফার ভোটগ্রহণের আগে একটি করে সভা করবেন রাজ্যের নানা প্রান্তে। অর্থাৎ, মোট সাত দফার হিসেব ধরলে, দু’জনেই সাতটি করে সভা করবেন বাংলায়। যোগী আদিত্যনাথ করবেন আটটি জনসভা। নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবিত সাতটি জনসভার মধ্যে একটি হতে চলেছে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।এছাড়াও এপ্রিলের শুরুতে রাজ্যে চারটি জনসভা করবেন সভাপতি অমিত শাহ। তবে তাঁর সভাগুলি কোথায় কোথায় হবে, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ব্রিগেডে মোদী সভা করবেন বলে গত ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সেই সভা ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেড-সমাবেশ করতে পারেনি বিজেপি। শহরে আসা হয়নি মোদীর। রাজ্যে ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে রাজ্যে বিজেপি-র পালে হাওয়া টানতে ময়দানে অবতীর্ণ হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। বিজেপি নেতৃত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন, এবারের ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তাঁদের টার্গেট ২৩টি। টার্গেট পূরণ হবে কিনা সেটা সময় বলবে, তবে মোদীর ব্রিগেড-সভার ইতিবাচক প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলেই আশায় বুক বাঁধছে বঙ্গের গেরুয়া শিবির।। নির্বাচনের মুখে সেই সভায় বিজেপি কত লোক আনতে পারে, তা নিয়ে চর্চা চলতে থাকবে পুরো ভোট পর্ব জুড়ে।