Site icon The News Nest

ফণীর তান্ডবে তছনছ ওড়িশা, মৃত কমপক্ষে পাঁচ, নামল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

fani 4

Street shops are seen collapsed due to gusty winds preceding the landfall of cyclone Fani on the outskirts of Puri, in the Indian state of Odisha, Friday, May 3, 2019. Indian authorities have evacuated hundreds of thousands of people along the country's eastern coast ahead of a cyclone moving through the Bay of Bengal. Meteorologists say Cyclone Fani was expected to make landfall on Friday with gale-force winds of up to 200 kilometers (124 miles) per hour likely starting Thursday night. It warned of "extremely heavy falls" over parts of the state of Odisha and its southern neighbor Andhra Pradesh. (AP Photo)

পুরী: সময়মতো আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা। আর সেই অনুযায়ী আগাম প্রস্তুতি। কিন্তু তাতেও প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা থেকে রেহাই পেল না পুরী, ভুবনেশ্বর-সহ ওড়িশার উপকূল বরাবরের গ্রাম শহর। লন্ডভন্ড বললেও সেই ধ্বংসলীলার প্রকৃত ছবিটা তুলে ধরা কঠিন।

গাছপালা উপড়ে, ভেঙে, বাড়িঘর তছনছ করে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলেছে ফণী। বহু জায়গায় রেললাইন উপড়ে গিয়েছে। রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছে টাওয়ার, বিদ্যুতের খুঁটি। পুরী, ভুবনেশ্বরের প্রবীণদের অনেকেই বলছেন, প্রকৃতির এমন ভয়াল-ভয়ানক রূপ আগে কখনও দেখেননি তাঁরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মূলত শহরাঞ্চলের ছবিটাই উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। কারণ ওড়িশার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল এখনও বিচ্ছিন্ন। সেই অঞ্চলের চিত্র যে আরও ভয়াবহ হবে, সেটা আন্দাজ করে এখনই আঁতকে উঠছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁদের অনেকেই বলছেন, কংক্রিটে মোড়া শহরের এই ছবি থেকেই বোঝা যাচ্ছে কার্যত গ্রামের পর গ্রাম মাটিতে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা। তবে আপাতত আশার কথা একটাই, ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার’ থেকে ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এ পরিণত হয়েছে ফণী। আর এ রাজ্যে ঢোকার আগে শক্তিক্ষয় হয়ে সেই ঝড়ই হয়ে যাবে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’।

https://twitter.com/riteshpoddar356/status/1124229354634956801

ফণীর প্রথম শিকার পুরী এবং সংলগ্ন এলাকাগুলি। আগে থেকেই পুরীর সমস্ত হোটেল, লজ খালি করে দেওয়া হয়েছিল। কার্যত জনমানবশূন্য ছিল সৈকতশহর। কিন্তু রক্ষা পায়নি স্থায়ী কাঠামো, বাড়িঘর, গাছপালা। ফুঁসছে সমুদ্র। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। বাঁধ উপচে ইতিমধ্যেই শহরে জল ঢুকছে। নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন। তাণ্ডব চলছে ভুবনেশ্বর, কটক, ভদ্রক, চাঁদিপুর, বালেশ্বরের মতো এলাকায়। আপাতত ঝড় থামার অপেক্ষায় প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হবে উদ্ধারকাজ। অতিভারী বৃষ্টিপাত চলছে পুরী, খুরদা, ভুবনেশ্বর এবং জগদীশপুরে।ঝড়-বৃষ্টির বেগ কিছুটা থামলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে উদ্ধারে। তাই ‘স্ট্যান্ডবাই’ মোডে রয়েছে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। উপকূল রক্ষী বাহিনীও প্রস্তুত। তবে যে সব এলাকায় পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে, সেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। উপড়ে বা ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। দুর্গতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশ্রয়স্থলে। অন্য দিকে ঝড় থামলেই হেলিকপ্টারে করে ওড়িশার উপকূল বরাবর আকাশপথে পুরো এলাকায় নজরদারি চালাবে উপকূল রক্ষী বাহিনী। সেই পরিস্থিতি বিচার করেই শুরু হবে উদ্ধার কাজ।

সকাল ন’টা নাগাদ পুরীর উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে ফণী। তার পর থেকেই ঝড়ের তাণ্ডবে বেসামাল ওড়িশা ও সংলগ্ন অঞ্চল। নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ফণী সাইক্লোনের তাণ্ডবে মৃত অন্তত পাঁচ জন!  পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী মনে করছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 

Exit mobile version