#বসিরহাট: বসিরহাটে দাঙ্গার নেপথ্যে বিএসএফের ভূমিকাকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শনিবার দুপুরে বসিরহাট কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী নুসরত জাহানের সমর্থনে সভা করতে গিয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে, লোক ঢুকিয়ে দাঙ্গা বাঁধিয়েছে বিএসএফ৷ তাঁরাই অশান্তি করে দিয়ে, মানুষের ক্ষতি করে দিয়ে চলে গেছে৷’ মোদীকে নিশানা করে কড়া আক্রমণ করে মমতা বলেন, “
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দাঙ্গা করেই হাতেখড়ি নরেন্দ্র মোদীর।” অটল বিহারী বাজপেয়ী ওনাকে সংসদের ভিতরে রাজধর্ম পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভেবেছিলাম উনি বদলে গিয়েছেন৷ কিন্তু দেখলাম উনি বদলাননি৷ গত পাঁচ বছরে কাউকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দেয়নি বিজেপি। শুধু দাঙ্গা দিয়েছে। বসিরহাটের দাঙ্গা আপনারা দেখেননি? বসিরহাটের সাধারণ মানুষ দাঙ্গা করেননি। বাংলাদেশের বিএসএফ-এর বর্ডার খুলে দিয়ে দুর্বৃত্ত ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তারা এসে দাঙ্গা করেছিল এটা মাথায় রাখবেন। বসিরহাটের মানুষ দাঙ্গা করেননি। আমরা ভুলে যাইনি সে দিনের কথা।’’ বিজেপিকে ফ্যাসিবাদী দল বলেও আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি একটা ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট এবং ভয়ঙ্কর অত্যাচারী রাজনৈতিক দল। পাঁচ বছরে কী করেছে জিজ্ঞাসা করুন। একটা কথা বলতে পারবে না। পাঁচ বছরে কী করেছে ওরা, হঠাৎ নোট বাতিল করেছে, তাতে মানুষের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল, কৃষকদের চাষ বন্ধ হয়ে গেল, শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে গেল। তিন কোটি ছেলেমেয়ে বেকার হল, ১০০ জন লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গেল, আর নোটবন্দির চাকা কোথায় গেল? মোদীবাবুকে বলুন, জবাব জবাব চাই, জবাব দাও। তার পর মিটিংয়ে বড় বড় কথা বলো।’’
দিল্লিতে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘মনে রাখবেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারকে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কিন্তু একমাত্র তৃণমূলই রাখে৷ আর কেউ সেই ক্ষমতা রাখে না৷ এই ভোট ভবিষ্যৎ তৈরির ভোট৷ সারা দেশকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে৷’ এদিনের জনসভা থেকে তিনি ফণী নিয়ে নরেন্দ্র মোদির ভূমিকাকেও কটাক্ষ করেছেন৷ প্রশ্ন তুলেছেন, ফোনে খোঁজখবর নেওয়ার হলে কেন মোবাইল নম্বরে ফোন করেননি প্রধানমন্ত্রী৷