Site icon The News Nest

বাংলায় এনআরসি ও ২৩টি আসনে পদ্ম ফোটার দাবি, জেনে নিন আলিপুরদুয়ারে আর কি বললেন অমিত শাহ

amit sah

আলিপুরদুয়ার: তৃনমূলকে মূল থেকে উপরে ফেলতে হবে। আলিপুরদুয়ারের সভা  থেকে এমনই ডাক দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে আজ মেগা র‌্যালিতে যোগ দেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সভা থেকে চাঁছাছোলা ভাষায় একের পর এক আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারকে।

বাংলা দখল যে এবার পদ্ম শিবির মূল লক্ষ্য, তা একেবারে অরাজনৈতিক ব্যক্তির কাছেও স্পষ্ট। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রায় ২১ টি সভা করার কথা রয়েছে মোদী-শাহ জুটির। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে ছিল প্রথম সভা। এই মঞ্চ থেকে নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে ঠিক কী বার্তা দেবেন মোদী সেনাপতি, তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। বাংলার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কাছে আরও একবার তাঁদের এবারের টার্গেট স্পষ্ট করে দিলেন অমিত শাহ। তিনি বললেন, ”এবার বাংলায় ২৩ টি আসন পাবে বিজেপি।”

অমিত বলেন, “এই নির্বাচন শুধু দেশ নয়, বাংলার পক্ষেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, মমতার সন্ত্রাস থেকে কেউ যদি বাংলাকে বাঁচাতে পারেন, সে একমাত্র নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরে অমিতের হুঁশিয়ারি, “আমাদের থামানো যাবে না, যত পারেন গুন্ডা নামান, আমরা জিতবই।” বাংলা থেকে তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে হবেও বলে হুঙ্কার ছাড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, “বাংলায় আগামী দিনে গণতন্ত্র থাকবে কিনা, তা ঠিক করবে এই নির্বাচন।”   তিনি আরও বলেন, ”তৃণমূল টোলবাজি ট্যাক্স। বাংলায় সিন্ডিকেটের রাজ চলছে।”  পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” পঞ্চায়েত ভোটে এখানে শুধু হিংসা হয়েছে। বাংলায় এখন শুধু বোমার শব্দ শোনা যায়।” এরপরই তিনি আশ্বস্ত করেন, ”এবার আধাসেনার উপস্থিতিতে সবাই ভোট দিতে পারবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।”

সভামঞ্চ থেকে অমিত শাহ যা বললেন—

•  মোদীজি পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মেরেছেন। পাকিস্তানের রাগ হওয়া উচিত। কিন্তু মমতা কেন রাগ দেখাচ্ছেন? মোদী সরকার জঙ্গিদের ছাড়বে না।

• বাংলায় এনআরসি আনব, খুঁজে খুঁজে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব।

• আমাদের হেলিকপ্টার নামতে অনুমতি দেননি। একটা অমিত শাহের মুখ বন্ধ করতে পারেন। বাংলার মানুষের মুখ কী করে বন্ধ করবেন। আপনার সময় শেষ।

• মমতা কান খুলে শুনে নিন বিজেপি কর্মকর্তাদের খুন করে আমাদের থামানো যাবে না, যত পারেন গুন্ডা নামান, আমরা জিতবই।

• নরেন্দ্র মোদীজি বাংলাকে মমতার ত্রাস থেকে বাঁচাতে পারে।

• মাদ্রাসাকে ৪ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিল, অথচ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের কোনও গুরুত্ব নেই।

• রাজ্যে জোর করে উর্দু ভাষা চাপানোর চেষ্টা চলছে।

• ইমামদের সঙ্গে পূজারিদের ভাতা দেওয়া উচিত।

• পশ্চিমবঙ্গে নতুন দিন, নতুন সকাল নিয়ে আসবেন নরেন্দ্র মোদী।

– গত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পের হিসেব বাংলার জনতাকে দিতে এসেছি আমি। কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীকে হিসেব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

– মমতাদিদিকে না সরালে এখানে আয়ুষ্মান ভারত আসবে না। মমতাদিদি, আপনি বলুন গরিবদের জন্য কী করেছেন?

– ভারতবাসীর জন্য ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু, মমতাদিদির জন্য আপনারা এখানে বঞ্চিত।

– সব শরণার্থীরা এখানে আশ্রয় পাবেন। সব হিন্দু শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে এখানে থাকতে দেওয়া হবে। শরণার্থীদের ভারত থেকে তাড়ানোর ক্ষমতা কারোর নেই।

– বৈধ নাগরিকদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। তাঁরা সম্মানে থাকতে পারবেন। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

• মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা, কমিউনিস্টদের তাড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কমিউনিস্টারাই ভাল ছিল। এই মুহূর্তে বাংলায় মা-মাটি-মানুষ থেকে মা মমতা চলে গেছেন, মাটি এখন অনুপ্রবেশকারীদের দখলে, মানুষ এখন সন্ত্রাসে ত্রস্ত।

• তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ফেলে দিন, বাংলায় পদ্ম ফোটান।

• বাংলায় ২৩টি আসনে বিজেপি জিতবে।

• বিরোধীদের জোট লোক ঠকানোর জোট।

– যে বাংলায় রবীন্দ্রনাথের গান, চৈতন্যদেবের কীর্তন শোনা যেত, এখন সেই বাংলাতেই বোমার আওয়াজে ভরে উঠেছে।

– বাংলায় গণতন্ত্র, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

– এবার তৃণমূলের হার নিশ্চিত।

– পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

– বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার।

– আগামী ৫ বছরে দেশের দিশা ঠিক করবে এই নির্বাচন।

-যেদিকে চোখ যাচ্ছে শুধুই কালো মাথার সারি, সবাইকে ধন্যবাদ।

• আগামী পাঁচ বছরে দেশের দিশা ঠিক করবে এই ভোট।

• বাংলায় পরিবর্তন আনতে হলে গলায় জোর আনতে হবে।

• ২০১৯-এর ভোট দেশের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ।​

Exit mobile version