Site icon The News Nest

বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্র পতন, প্রয়াত সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিত

dibendu palit

আবার নক্ষত্রপতন। ৭৯ বছর বয়সে চলে গেলেন বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান মুখ দিব্যেন্দু পালিত।দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। শারীরিক কারণেই বাধ্য হয়েছিলেন লেখালেখি থেকে দূরে থাকতে। কলকাতার কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালেই তাঁর জীবনাবসান হয়েছে।
১৯৩৯ সালের ৫ মার্চ দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম হয় বিহারের ভাগলপুরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যে বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। পঞ্চাশের দশকে বাংলা কথাসাহিত্যে যাঁরা নজর কেড়েছিলেন, দিব্যেন্দু পালিত তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
তুলনামূলক সাহিত্যে এম এ করার পর তিনি যোগ দেন ‘হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড’ সংবাদপত্রে সাব এডিটর হিসেবে। কয়েক বছর পরেই সাংবাদিকতার পেশা ছেড়ে চলে যান বিজ্ঞাপনের জগতে। দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিলেন ক্লারিয়ন-ম্যাকান অ্যাডভার্টাইজিং এর সঙ্গে। পরবর্তীকালে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সাহিত্য অকাদেমির সঙ্গেও তাঁর যোগ দীর্ঘদিনের।
প্রথম গল্পগ্রন্থের নাম ‘শীত গ্রীষ্মের স্মৃতি’। উপন্যাস, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ – সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই ছিল তার অনায়াস দক্ষতা। জীবনের অসীম বৈচিত্র্য ও তার অন্তর্নিহিত প্রশ্নগুলোকে পাঠকের সামনে বারবার তুলে ধরেছেন তিনি। ‘মূকাভিনয়’ এর মতো ছোটগল্প বা ‘সহযোদ্ধা’র মতো উপন্যাসের জন্য বাংলা সাহিত্যের আধুনিক ও প্রথম সারির লেখক হিসেবে পরিগণিত হতেন তিনি।
‘সিনেমায় যেমন হয়’, ‘স্বপ্নের ভিতর’, ‘অন্তর্ধান’ ‘চরিত্র’ বা ‘উড়োচিঠি’র মতো উপন্যাসের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাঙালি পাঠক মহলে।১৯৫৫ সালে প্রথম গল্প ‘ছন্দপতন’ প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার পকত্রিকার রবিবাসরীয়তে। প্রথম উপন্যাস ‘সিন্ধু বারোয়াঁ’ গ্রন্থাকারেই প্রকাশিত হয় ১৯৫৯ সালে। ১৯৮৪ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরষ্কার। ‘ঢেউ’ উপন্যাসটির জন্য পেয়েছেন বঙ্কিম পুরষ্কার (১৯৯০)। ‘অনুভব’ উপন্যাসটির জন্যে সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরষ্কার পেয়েছেন ১৯৯৮ সালে।

Exit mobile version