ওয়েব ডেস্ক: যারা ভেজিটেরিয়ান বা ভেগান অর্থাৎ নিরামিষভোজী তারা শুধু যে নিরামিষ খাবার খান তা নয়, বরং নিত্য প্রয়োজনীয় মেকআপ, টয়লেট্রিজ, পোশাক, ব্যাগ বা জুতো—সবকিছুতেই তারা প্রাণিজ পণ্য এড়িয়ে চলেন। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে কিছু কনডমে প্রাণিজ উপাদান ব্যবহার হতে পারে। এর সমাধান হতে পারে ভেগান কনডম।
সাধারণ ল্যাটেক্স কনডমে ব্যবহার করা হতে পারে দুধ থেকে তৈরি রাসায়নিক কেসিন। আবার ল্যাম্বস্কিন কনডমে ব্যবহার করা হয় ভেড়ার অন্ত্রের কিছু অংশ। ভেগান কনডমে এমন কোনো প্রাণিজ উপাদান থাকে না। কিন্তু ভেগান কনডম কি আসলে গর্ভধারণ ও যৌনরোগ প্রতিরোধ করতে পারে?
সাধারণ নন-ভেগান কনডমও কিন্তু সবসময় কার্যকরী নয়। যেমন ল্যাম্বস্কিন কনডম গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারে ঠিকই, কিন্তু যৌনরোগ প্রতিরোধ করতে তেমন কার্যকরী নয়। যৌনরোগের ঝুঁকি এড়াতে ল্যাটেক্স বা পলিইউরেথ্রিন কনডম ব্যবহার করাটাই ভালো। ভেগান ও নন-ভেগান দুই ধরনের কনডমই যদি সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা হয়, তবে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে তা গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।লোলা নামের একটি হেলথ ব্র্যান্ড ভেগান কনডম তৈরি করে, যা প্রাকৃতিক রাবার গাছের ল্যাটেক্স দিয়ে তৈরি হয়। এতে কোনো প্রাণিজ পণ্য নেই, এমনকি নেই কোনো প্যারাবেন, কৃত্রিম রং বা গন্ধ। এর পাশাপাশি গ্লাইড ও সাসটেইন ব্র্যান্ডেরও ভেগান কনডম আছে। এ ছাড়া সিন্থেটিক রেজিনে তৈরি হয় ইউনিক ব্র্যান্ডের কনডম, যাতে কোনো ল্যাটেক্স থাকে না।
নন-ভেগান ল্যাটেক্স কনডমে কেসিন ব্যবহার করা হয় যাতে তা নমনীয় থাকে ও ব্যবহারে সুবিধা হয়। কিন্তু তা বাদ দিলেও ভেগান কনডম ব্যবহারে সমস্যা হয় না, তাতে লুব্রিকেশন দেওয়া থাকে। কিছু ভেগান কনডম ব্র্যান্ডে নাইট্রোস্যামিন বাদ দেওয়া হয়, যা সাধারণত নন-ভেগান কনডমে থাকে। নাইট্রোস্যামিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসব কারণে ভেগান কনডম নারীর শরীরের জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর হতে পারে।