Site icon The News Nest

বাবর কি করেছিলেন তা বিবেচ্য নয়, বিবাদ মেটানোই লক্ষ্য , অযোধ্যা মামলায় “সুপ্রিম” মন্তব্য

54170 qjotgafocn 1490183560

নয়াদিল্লি : মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করেই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার নিষ্পত্তি করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট । বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এদিন দু’পক্ষের বক্তব্য শোনে। বিচারপতিরা উভয় পক্ষকেই বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কের মীমাংসার জন্য একটা রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে। সব পক্ষকেই মধ্যস্থতাকারীদের নাম প্রস্তাব করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখে মধ্যস্থতাকারীদের নাম চূড়ান্ত করবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে এই মধ্যস্থতার সময়কালে সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত কোনও খবর প্রকাশ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতে বিবদমান সব পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাবে।

মধ্যস্থতার মাধ্যমে জমি বিবাদ মেটাতে রাজি মুসলিম পিটিশনকারীরা। তাঁদের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান এদিন আদালতে জানান, ‘‘মধ্যস্থতার ব্যাপারে সহমত মুসলিম পিটিশনকারীরা।’’ অন্যদিকে, আইনজীবী রাম লালা বিরাজমান জানান, রাম জন্মভূমিতে মন্দির তৈরির জন্য মধ্যস্থতার প্রস্তাব আগেও দেওয়া হয়েছে। তবে তা ব্যর্থ হয়েছে। বরং মসজিদ তৈরির জন্য আলাদা জমি বরাদ্দ করা হোক।হিন্দু মহাসভা এদিন বলে, “আমাদের কাছে এটি ভাবাবেগের বিষয়। ওই জমি বিগ্রহের সম্পত্তি। তা নিয়ে কারও মধ্যস্থতা করার অধিকার নেই। হিন্দু মহাসভার কৌঁসুলি জানিয়ে দেন, আমরা ১৯৫০ সাল থেকে অযোধ্যা মামলার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছি।” বিচারপতিদের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি এস এ বোবদে উত্তরে বলেন,” আপনারা কি পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আগেভাগে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন না? আপনারা আলোচনা শুরুর আগেই বলছেন, তাতে লাভ হবে না। আমাদের মনে হয়, এই ভাবনা ঠিক নয়।আদালত যখন মধ্যস্থতা করার নির্দেশ দেয়, তখন এমন মনে করা হয় না যে, কেউ তার দাবি ছেড়ে দেবে। আমরা মনে করি এটা নিছক জমির মামলা নয়। এর সঙ্গে বিশ্বাস ও ভাবাবেগের বিষয়টি জড়িত। আপনারা ভাববেন না যে, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন নই।” তিনি আরো বলেন, “আমরা ইতিহাস জানি। আমরা আপনাদের যেকথা বলতে চেষ্টা করছি, তা হল, অতীতে যা ঘটে গিয়েছে, তার ওপরে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। কে আক্রমণ করেছিল, বাবর কী করেছিল, সেই সময় কে রাজা ছিল, মসজিদ না মন্দির ছিল, সেসব আমরা পাল্টাতে পারব না। আমরা শুধু বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করতে পারব।”

অযোধ্যা নিয়ে বিচারপতিরা যদি মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন, তাহলে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হতে দেরি হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি চায়, দ্রুত মন্দির নির্মাণ শুরু হোক। তারা এমনও দাবি করেছে, আদালতকে এড়িয়েই শুরু হোক রামমন্দিরের নির্মাণ।তবে এদিন শুনানিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানায়, ‘‘আমরা এ নিয়ে শীঘ্রই রায় দিতে চাই।’’

 

Exit mobile version