নয়াদিল্লি: বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদী বনাম প্রিয়াঙ্কা গান্ধী! লড়াইটা কেমন জম্পেশ হবে! বৃহস্পতিবার থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরছে জাতীয রাজনীতিতে। সবার প্রশ্ন একটাই -সত্যিই কি বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন রাজীব কন্যা?
জল্পনার সূত্রপাত নিজেই করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বৃহস্পতিবার রায়বরেলিতে দলীয় প্রচারে এসেছিলেন তিনি । ডাকাবুকো হওয়ার কারণে রায়বরেলীর লোকজন তাঁকে বলে, ‘ভাইয়াজি’! অসুস্থতার কারণে মা সনিয়া গান্ধী প্রচারে বেশি আসতে পারছেন না, এই ব্যাপারে কর্মীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। তখনই কর্মীরা আবেদন করেন, মায়ের বদলে তিনিই এ বার রায়বরেলি থেকে প্রার্থী হয়ে যান। ঠাট্টাভরা জবাবে প্রিয়াঙ্কা বলেন “বারাণসী থেকে লড়লে কেমন হয়?”
ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের৷ রাজীব-সোনিয়ার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা অনেকদিন এই বৃত্তের বাইরে থাকলেও, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে তাঁকেও রাজনীতির মাঠে নামিয়ে এনেছেন দাদা রাহুল গান্ধী৷ গত ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রিয়ঙ্কা। তার পর তাঁকে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেন রাহুল। তখন থেকে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। প্রথমে অনেকে মনে করেছিলেন, সনিয়া গান্ধী বুঝি এ বার ভোটে লড়বেন না। রায়বরেলী থেকে প্রিয়াঙ্কা প্রার্থী হবেন। পরে সনিয়ার নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার পর উত্তরপ্রদেশে জল্পনা রয়েছে বারাণসী থেকে হয়তো প্রার্থী হতে পারেন রাজীব-কন্যা। কেন না বারাণসী পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মধ্যে পড়ে। ফলে প্রিয়ঙ্কার এ দিনের টিপ্পনি অনেকেই সিরিয়াস হিসাবে নিতে শুরু করেছেন।
তবে বুধবারও কংগ্রেস কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে প্রিয়ঙ্কা বোঝাতে চেয়েছিলেন, দল ও সংগঠন চাইলে তিনি প্রার্থী হতেই পারেন। কিন্তু আমার ইচ্ছা এখন সংগঠনের জন্য কাজ করার। দলকে ২০২২ সালের জন্য প্রস্তুত করার। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হবে। অনেকের মতে, প্রিয়ঙ্কার কৌশল পরিষ্কার। লোকসভায় প্রার্থী হবেন না তিনি। বরং তিন বছর বাদে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী প্রোজেক্ট করে ভোটে লড়বে কংগ্রেস।