বিজেপির ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির উল্লেখ, প্রয়োগ হলে ফল ভুগতে হবে হুঁশিয়ারি ফারুকের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শ্রীনগর: ক্ষমতায় ফিরলে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দিতে সচেষ্ট হবে বিজেপি৷ সোমবার ইস্তেহার প্রকাশ করে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই জম্মু-কাশ্মীরে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীরে আংশিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রদান সংক্রান্ত আইন ৩৭০ ধারা৷ কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ হিসেবে রাখতে চেয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতি, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটানো হবে৷ পাশাপাশি, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রত্যর্পণে ব্যবস্থা করা হবে। ইস্তেহার প্রকাশিত হওয়ার পরই এনসি নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার হুঁশিয়ারি, এমনটা হলে দিল্লি যেন মনে না করে কাশ্মীরের ‘আজাদি’-র জন্য আন্দোলন হবে না৷

৮১ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লা এ দিন বলেন, বিজেপি কীভাবে ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বিলোপ করতে পারে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সম্পর্কে তাঁর আরও মন্তব্য, “বিজেপি কী ভাবে বাইরে থেকে লোক আনবে? আমাদেরকে হটানো হবে। আমরা কি ঘুমিয়ে আছি? এর মোকাবিলা করব আমরা।” উপত্যকার স্বাধীনতার জন্য যে কোনও মূল্য চোকানোর বার্তা দেন ফারুক।

বিজেপির ইস্তেহারের এই অংশে কেন কাশ্মীরি নেতাদের এত আপত্তি, তা বুঝতে হলে ৩৭০ ধারার বিশ্লেষণ দরকার৷ ভারতীয় সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী, ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর একটি ব্যতিক্রমী রাজ্য৷ যেখানে প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হলে, রাজ্য সরকারের অনুমোদন দরকার৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অবশ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ এখন বিজেপির ইস্তেহার অনুযায়ী, ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করা হলে, ভারত সরকার যে কোনও আইন অন্যান্য রাজ্যের মতো জম্মু-কাশ্মীরেও বলবৎ করতে পারবে৷ রাজ্য সরকারের কোনও অনুমোদন লাগবে না৷ ফলে স্বায়ত্তশাসনের পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ যদিও এটা বিজেপির বরাবরের স্ট্র্যাটেজি৷ এতদিন এনিয়ে কথাবার্তা হলেও, এবার সরাসরি ইস্তেহারে তা প্রকাশিত হল৷

আর এখানেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ৷ সেখানকার ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক স্বার্থেই স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে৷ তাই বিজেপির ইস্তেহার দেখামাত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা বিরোধিতায় নেমেছেন৷ মুনিয়ারাবাদের জনসভায় তাঁর বক্তব্য, ‘দিল্লি কি মনে করছে ওরা ৩৭০ ধারা তুলে দেবে আর আমরা চুপ করে বসে থাকব? ভুল ভাবছে৷ আমরা অবশ্যই এর বিরোধিতা করব৷ ওদের এটা করতে দিন, আমরাও আজাদির জন্য সরব হব৷’ বিজেপির ইস্তেহার এবং ফারুক আবদুল্লার মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের অন্দরে৷ অভিজ্ঞ মহলের মতে, অখণ্ডতার যুক্তিতে বিজেপির ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বিষয়টি সমর্থনযোগ্য কি না, তা বিতর্কের বিষয়৷তবে এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷

সম্প্রতি কাশ্মীরে পৃথক প্রধানমন্ত্রীর দাবি করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেছিলেন, “৩৫-এ ধারায় হাত দিলে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য পৃথক প্রধানমন্ত্রী এবং  রাষ্ট্রপতির দাবি জানানো হবে।”

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest