Site icon The News Nest

বিজেপির ঔদ্ধত্য দুর্যোধনের মতো, মন্তব্য প্রিয়ঙ্কার, পাল্টা কটাক্ষ অমিতের

pg as

#হরিয়ানা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ১’ বলে আক্রমণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। মোদীর এই ব্যক্তিগত আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দল। রাজীবপুত্র রাহুল অবশ্য গান্ধীগিরির রাস্তাতেই প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তার পরও মঙ্গলবার রাজ্যে এসে ফের সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদীকে সমর্থন করেছেন অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, রাজীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অন্যায় কিছু বলেননি মোদী। মঙ্গলবারও বোফর্স কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দেন অমিত। অন্য দিকে বাবা রাজীবের প্রতি মোদীর এই ‘অসম্মান’-এর জবাব দিতে গিয়েই মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। অহঙ্কারীকে দেশ ক্ষমা করে না বলে সাবধানবাণীও করলেন তিনি।

প্রিয়ঙ্কার কথায়, আমাদের দেশ কখনও উদ্ধত ব্যক্তিদের ক্ষমা করেনি। দুর্যোধনও খুব উদ্ধত ছিলেন। ভগবান কৃষ্ণ চেয়েছিলেন তাঁর সুবুদ্ধি ফিরে আসুক। কিন্তু তিনি উল্টে শ্রীকৃষ্ণকে বন্দি করতে চেয়েছিলেন। আম্বালায় কংগ্রেস প্রার্থী কুমারী সেলজার সমর্থনে এদিন প্রিয়ঙ্কা সভা করেন। কবি রামধারী সিং দিনকরকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, যখন কোনও ব্যক্তির পতন ঘনিয়ে আসে, তখন সে ভালো আর মন্দের তফাৎ বুঝতে পারে না।বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোটের সময় তারা যে প্রতিশ্রুতি দেয় কখনই পালন করে না। তারা শহিদদের নামে ভোট চায়। আমার পরিবারে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের অপমান করে।

দুর্যোধনের সঙ্গেই এ দিন কার্যত মোদীকে সমার্থক হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। উল্টো দিকে এ দিন ভোট প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন অমিত শাহ। ঘাটাল, মেদিনীপুর এবং বিষ্ণুপুরে তিনটি সভা করেন বিজেপি সভাপতি। প্রথম দুই সভার পর প্রিয়ঙ্কার ওই আক্রমণের খবর পান অমিত। এর পর বিষ্ণুপুরের সভাতেই তার জবাব দেন, তিনি বলেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই প্রিয়ঙ্কা মোদীকে দুর্যোধন বলেছেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কাজি, এটা গণতন্ত্র। শুধু আপনি কাউকে বললেই তিনি দুর্যোধন হয়ে যান না। ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলাফলের পরই প্রিয়ঙ্কাকে উচিত শিক্ষা দেবেন ভোটাররা। তখনই বোঝা যাবে, কে দুর্যোধন আর কে অর্জুন। কংগ্রেসের কোনও অপমানই ভোটারদের মনোভাব পাল্টাতে পারবে না।’’

 

Exit mobile version