মুম্বই: বিজেপি এবং তার শরিক দলদের একটিও ভোট নয়। এই মর্মে স্বাক্ষর করলেন দেশের খ্যাতনামা ৬০০ থিয়েটার শিল্পী। বৃহস্পতিবার এই স্বাক্ষর করেন তাঁরা। দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি তাদের আবেদন যে এই সরকারকে আর ফিরিয়ে আনবেন না। উল্লেখ্য, এই স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, তাঁর স্ত্রী রত্না পাঠক শাহ,কঙ্কনা সেনশর্মা অনুরাগ কশ্যপ, মানব কল প্রমুখ।থিয়েটার শিল্পীদের বক্তব্য হল, ভালোবাসার জন্য ভোট দিন।ন্যায়বিচারের জন্য ভোট দিন।বিদ্বেষের অবসানের জন্য ভোট দিন। যা ভয়াবহভাবে প্রতিদিন বেড়ে উঠছে এদেশে।
রাখঢাক না করে থিয়েটারশিল্পীরা সরাসরি বলেছেন, বিজেপি এদেশে হিন্দুত্ববাদী গুন্ড দের দের অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে। তাদের দিয়ে রাজনীতিতে বিদ্বেষ ছড়াতে চেয়েছে।নিজেদের আবেদনে, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য তুলে ধরেছেন এই থিয়েটার শিল্পীরা। তাঁদের বক্তব্য, যিনি পাঁচ বছরে নিজেকে দেশের ত্রাতা হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি আসলে গত পাঁচ বছরে দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। তাঁর নীতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে লক্ষ লক্ষ জীবন। থিয়েটার শিল্পী রা স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রশ্ন- উত্তর ছাড়া কখনই গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না। গণতন্ত্রে বিতর্ক অত্যন্ত জরুরী। সেখানে বিরোধীদের অবস্থান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই সরকারের জমানায় যা শেষ হতে বসেছে। এর আগে দেশের ১০৩ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা আগেই বিজেপি হটাও চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। আর্টিস্ট ইউনাইটেড ইন্ডিয়া নামক ওয়েবসাইটে তাঁরা জনগণের কাছে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। চলচ্চিত্র শিল্পীরাও মোদী জমানায় গণতন্ত্রের ভয়াবহ দিকের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এছাড়া চলতি সপ্তাহে খ্যাতনামা লেখক-লেখিকার মোদী সরকার আবার ক্ষমতা ফিরলে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তার ভয়াবহতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অরুন্ধতী রায়,নয়নতারা সায়গল, রোমিলা থাপা-এর মতো বিশিষ্ট লেখিকারা সরব হন। এই লেখক লেখিকাদের দাবি, হিংসা ছড়িয়ে রাজনীতি যারা করে তাদের ভোট দেবেন না।
বুধবার ১৫৪ জন বিজ্ঞানীদের একটি দল এই একই ভয়ঙ্কর প্রবণতা দিকে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।তাঁদের বক্তব্য, যারা মানুষকে পিটিয়ে মারে তাদের ভোট দেবেন না। যারা ধর্মের নামে, জাতির নামে, বর্ণের নামে ,ভাষার নামে এবং অঞ্চলের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে তাদের একটিও ভোট নয়। এবার দেশের থিয়েটার শিল্পীরাও একযোগে বললেন, ভোট দিতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সংযুক্ত ভারত গঠনের জন্য। ভোট দিতে হবে সচেতন ভাবে। ভোট দিতে হবে স্বাধীন স্বপ্ন নির্মাণের জন্য।