নয়াদিল্লি: দল টিকিট দেয়নি। ব্লগে দলের নতুন এবং পুরনো নীতি-অবস্থানের তুলনামূলক আলোচনায় দীর্ঘ পোস্ট করে বিজেপিকে অস্বস্তিতেও ফেলেছেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণী। এর পর দিনই অর্থাৎ শুক্রবার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন আরও এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি মনোহর যোশী, যিনি নিজেও এ বারের ভোটে বিজেপির তরফে টিকিট পাননি।
বিজেপিতে বৃদ্ধদের কোন জায়গা নেই। ৭৫ পেরোলেই রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতেই হবে। এই যুক্তিতে আডবানী -যোশীদের মত বিজেপির এককালের স্তম্ভগুলো আস্তে আস্তে ছেঁটে ফেলা হয়েছে কেবল বয়সের কথা বলে। বিজেপি সূত্রে খবর, এ বারের লোকসভা ভোটে ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো নেতাকেই আর টিকিট দেওয়া হবে না। সেই তালিকায় রয়েছেন জনা দশেক বিজেপি নেতা, যাঁরা পাঁচ বারের বেশি লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বাদ পড়েছেন আডবাণী, যোশী। একই ভাবে বিজেপি সরাসরি বাদ না দিলেও প্রার্থী ঘোষণার বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে ভোটে না-দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষা সুমিত্রা মহাজন। তাঁর কেন্দ্র ইন্দোরে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি।
সম্প্রতি কানপুর কেন্দ্রের সমস্ত ভোটারদের উদ্দেশ্যে ‘মার্গদর্শক’ মুরলী মনোহর যোশী চিঠি লিখে জানিয়েছেন, কানপুরের প্রিয় ভোটাররা, ভারতীয় জনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শ্রী রাম লাল আমাকে জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কানপুর বা অন্য কোনো কেন্দ্র থেকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভা ভোটের টিকিট নিয়ে বিজেপির প্রবীণ নেতৃত্বের মনে ক্ষোভ পঞ্জিভূত হচ্ছে। যা তাঁরা কেউ কেউ গোপনও করছেন না। যদিও শুক্রবার আডবাণী-যোশী সাক্ষাৎকারে কী তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
বিজেপির দুই বর্ষীয়ান নেতা কি বিদ্রোহের পরিকল্পনা করছেন নাকি সাইডলাইন হয়ে পড়ার দুঃখ একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলেন- জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা বিষয়টি নিয়ে।