নয়াদিল্লি: বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে? এই মুহূর্তে এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। এ প্রশ্ন তুলেই মোদী সরকারকে ‘চাপে’ রাখার কৌশল নিচ্ছে বিরোধীরা। সেই প্রশ্নেরই এবার জবাব দিলেন মোদী সেনাপতি। বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। রবিবার আমদাবাদে তিনি জানালেন বায়ুসেনার হামলায় নিহত জঙ্গির সংখ্যাটা। তাঁর কথায়,”পুলওয়ামায় হামলার পরে সবাই ভেবেছিল, এই সময় সার্জিকাল স্ট্রাইক করা যাবে না। এ বারে কী হবে? তখনই মোদী সরকার ১৩ দিনের মাথায় বায়ুসেনার অভিযান চালিয়ে ২৫০-র বেশি জঙ্গিকে মেরেছে।”
বিরোধীদের নিশানা করে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘যখন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান ধরা পড়লেন, তখনও ওঁরা(বিরোধীরা) সরব হলেন। কিন্তু মোদী সরকারের জোরেই এই প্রথমবার কোনও যুদ্ধবন্দিকে এত দ্রুত মুক্তি দেওয়া হল…৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অভিনন্দনকে।’’ শাহ আরও বলেছেন, আমেরিকা ও ইজরায়েলের পর ভারতই তৃতীয় কোনও দেশ যারা সেনার উপর হামলার শোধ নিতে জানে।
অমিত শাহ এমন দিনে এই সংখ্যাটা জানালেন, যার পরের দিন নিজের রাজ্য গুজরাতে যাচ্ছেন মোদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাজ্য জুড়ে যে পোস্টার পড়েছে, তাতে বন্দুক হাতে মোদীর ছবির পাশে লেখা, ‘না ঝুঁকব, না থামব। রক্ততিলক পরে গুলির আরতি করব।’ সোজা কথায়, সর্বত্র একটা যুদ্ধ-মার-কাট রব তুলে দিচ্ছেন মোদী ও তাঁর সেনাপতিরা।বিরোধীরা বুঝতে পারছেন, জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে ‘রুটি-রাফাল-রোজগার’ এবং গত পাঁচ বছরের সব ব্যর্থতাকে মুছে দিতে মরিয়া মোদী এবং তাঁর সঙ্গীরা।