বুলন্দশহর পুলিশ খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত বজরং নেতা যোগেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বুলন্দশহর হিংসার ঘটনার একমাস পর পুলিশের জালে প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজ৷ বজরং দলের নেতা যোগেশকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়৷ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।৩১ দিন পর খুরজা থেকে গ্রেপ্তার করা হল তাকে।
৩ ডিসেম্বর গোহত্যার ভুয়ো খবরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্দশহর৷ সেই হিংসার বলি হন পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং৷ পুলিশ খুনে নাম জড়ায় বজরং দলের নেতা যোগেশ রাজের৷ তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় সে৷ সেই ঘটনার ৩ দিন পর ৬ ডিসেম্বর একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে আনে যোগেশ৷ সেই ভিডিও বার্তায় বজরং নেতা নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে৷ জানায়, হিংসার সময় ঘটনাস্থলেই ছিল না সে৷ যদিও সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজে যোগেশকে ঘটনাস্থলেই দেখা গিয়েছে৷ পুলিশি তদন্তেও যোগেশের নাম উঠে আসে৷ তবে যোগেশের গ্রেপ্তারি নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর প্রশ্নও উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছিল। এও বলা হচ্ছিল, পুলিশ যোগেশ রাজকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে। কারণ সে বজরং দলের জেলা সমন্বয়কারী।অনেকের দাবি,
২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে আখলাখ আহমেদ নামে এক ব্যক্তির গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ছিলেন ইন্সপেক্টর সুবোধকুমার সিং। ফলে তাঁকে পূর্ব পরিকল্পনা করে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হইচই পড়ে যায় গোটা দেশে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পথঘাট, সর্বত্রই এর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় অনেককে। চাপে পরে তদন্তে নামে পুলিশ। শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
বুলন্দশহরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সপ্তাহেই বুলন্দশহরের ঘটনায় পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংয়ের উপর গুলি চালানোর অভিযোগে প্রশান্ত নট নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বয়স ২৬ বছর। জেরায় ধৃত যুবক অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। জানায়, ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংকে সে-ই গুলি করে। তবে তদন্তকাজ এখানেই থামিয়ে দেয়নি পুলিশ। প্রশান্তের কথার উপর ভিত্তি করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest