নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: এরাজ্যের দুই আসন-সহ গোটা দেশের মোট ৯১টি লোকসভা আসনে শুরু প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশ, জম্মু কাশ্মীর, মেঘালয়ের দুটি করে এবং ছত্তিশগড়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, আন্দামান এবং লাক্ষাদ্বীপের একটি করে আসনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।বড় রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ৭টি, বিহারের ৪টি এবং মহারাষ্ট্রের ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যে সমস্ত হেভিওয়েটদের ভাগ্য আজ নির্ধারিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি, ভি কে সিং এবং কিরেণ রিজিজু। বিরোধীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গৌরব গগৈ এবং রেণুকা চৌধুরি।
এরাজ্যের দুই আসনে বিশেষ নজর রয়েছে। দুটি আসনেই লড়াই মূলত চতুর্মুখী। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকে, বিজেপি প্রার্থী জন বারলা, আরএসপি প্রার্থী মিলি ওঁরাও এবং কংগ্রেস প্রার্থী মোহনলাল বসুমাতা। অন্যদিকে, কোচবিহারে তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী। কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন নিশীথ প্রামাণিক। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গোবিন্দ রায় এবং কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন পিয়া রায়চৌধুরি।আলিপুরদুয়ারে স্পর্শকাতর বুথ ৮১৪টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে ৩৬ কোম্পানি। রাজ্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছেন ৩ হাজারের কাছাকাছি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী জন বারলা। তাঁর অভিযোগ, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। আবার যে কেন্দ্রগুলি শান্তিপূর্ণ সেগুলিতেই বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বানারহাটে ভোট দিয়েছেন জন বারলা। অন্যদিকে, কোচবিহার কেন্দ্রে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৬৮২টি, আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে ৪৭ কোম্পানি।
ভোটের সকালেই অবশ্য দুই কেন্দ্র থেকেই বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর মিলেছে। মাথাভাঙায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। একাধিক জায়গায় বিরোধীদের আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিরোধী এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে।