Site icon The News Nest

বেনজির! টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ, ভেলোরে নির্বাচন বাতিল করল কমিশন

vote 1

নয়াদিল্লি: নজিরবিহীন ভাবেই তামিলনাড়ুর ভেলোরে লোকসভা ভোট আপাতত বাতিল করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ১৮ এপ্রিল তামিলনাড়ুর ৩৯ টি আসনে একসঙ্গে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি সাপেক্ষে কমিশন মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, ভেলোরে ভোট সে দিন বাতিল করা হয়েছে। সেখানে ভোট হবে পরে।

অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় বাইরে থেকে টাকা বিলি করা হয়েছে। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে এক রাজনৈতিক দলের গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে ১১ কোটি টাকা। সেই টাকা দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে কাজে লাগানো হবে বলে অভিযোগ করা হয় নির্বাচন কমিশনে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশন। কমিশন জানতে পারে ওই গুদাম ডিএমকে নেতার। তিনি ডিএমকের প্রধান কোষাধ্যক্ষ। এরপরই তামিলনাড়ুর নির্বাচনী আধিকারিককে জানানো হয়ে বিষয়টি। এরপরই নির্বাচন কমিশন নড়েচড়ে বসে। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভেলোর কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখার ব্যাপারে বৈঠকে বসে কমিশন। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেন ওই কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত রাখার।

নির্বাচনে জিততে ভোটারদের টাকা-বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রভাবিত করার ঘটনা মাঝে মধ্যেই সামনে আসে। সেই তালিকায় প্রথম থেকেই উপরের দিকে রয়েছে তামিলনাড়ুর নাম। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেমন, তামিলনাড়ুর আরাক্কোনম কেন্দ্রের ডিএমকে প্রার্থী এস জগৎরক্ষাণন। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের জন্য নগদ এক কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। ভেলোর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন ডিএমকে-র কোষাধ্যক্ষ এস দুরাইমুরুগানের ছেলে কাথির আনন্দ। ছেলেকে জেতাতে দুরাইমুরুগান পুরস্কার দেবেন ৫০ লাখ টাকা। যে বিধানসভা এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি লিড পাবেন, সেখানকার নেতারা ওই টাকা পাবেন। কম যান না তাঁরই প্রতিপক্ষ ভেলোর কেন্দ্রের এডিএমকে প্রার্থী এসি সন্মুগম। ছ’টি বুলেট বাইক, দেশে এবং বিদেশে থাকা খাওয়ার খরচ-সহ বেড়ানোর টিকিট দেওয়ার মতো সুযোগও দিচ্ছেন তিনি। ভেলোরের নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগেই কাথিরের কাটপাডি এলাকার বাসভবনে যান কমিশনের আয়কর দফতরের কর্মী-অফিসরারা। বাড়ির পাশাপাশি কাথিরের মালিকানাধীন একটি স্কুল এবং তাঁর এক ঘনিষ্ঠ অনুগামীর বাড়িতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। অভিযানে মোট ১৯ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।এ ভাবে টাকা উদ্ধারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি, আইন মন্ত্রকের কাছেও সুপারিশের একটি প্রতিলিপি পাঠায় তারা।

Exit mobile version