কাওয়াখালি: নরেন্দ্র মোদীর সভা ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। বুধবার দু’টি সভা রয়েছে তাঁর। একটি শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে। অন্যটি ব্রিগেডে।এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। বাংলা থেকে যত বেশি সম্ভব আসন নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করবে মোদীর এই প্রাক-নির্বাচনী সভা।
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ বাগডোগরা পৌঁছাবেন মোদী। সেখান থেকে গাড়ি বা কপ্টারে করে নির্বাচনী সভায় যাওয়ার কথা। ১.২০ নাগাদ শুরু হবে সভা।সভা ঘিরে এখন প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বাংলায় ভোটপ্রচার প্রথম শিলিগুড়ি থেকেই শুরু করছেন তিনি। সেজে উঠেছে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি প্রাঙ্গণ। তাঁর সভা ঘিরে বজ্র আঁটুনি শিলিগুড়িতে। বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাটে পুলিস মোতায়েন রয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় নেতারা সভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ভিড় করেছেন সভা প্রাঙ্গণে।
২০০৯ এবং ২০১৪, দুবারই দার্জিলিং লোকসভা আসন দখলে রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও অন্য। যে মোর্চার ওপর ভর করে বিজেপি গত দুবার জয়লাভ করেছিল, সেই মোর্চাই এ বার দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাইকে সমর্থন জানাচ্ছেন বিনয় তামাংরা, অন্যদিকে আড়ালে থেকে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়েছেন বিমল গুরুং। এমন পরিস্থিতিতে আজ শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা।সমতলে সভা করে মোদী পাহাড়কে নিয়ে কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
কাওয়াখালির মাঠে এই সভার অনুমোদন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের সঙ্গে টালবাহানা চলে বিজেপির। পরে অবশ্য এই মাঠেই মোদির সভার অনুমোদন দিয়ে দেয় এসজেডিএ (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। গত তিন দিন ধরে জোরকদমে ওই মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ হয়। গতকাল রাত জেগে চলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গোটা মাঠকে ঘিরে কর্মী–সমর্থকদের বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। মাঠে মূল মঞ্চ হচ্ছে একটিই। সভার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই গোটা এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এসপিজি। মঙ্গলবার সভাস্থল পরিদর্শন করেন এসপিজি, সেনা এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র দাবি প্রায় তিন লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে এখানে। তিনি বলেন , ‘উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা আসছেন। উত্তরবঙ্গে আমাদের শক্তি কত, তা এই সভা দেখেই বুঝতে পারবেন সবাই।’