#বেঙ্গালুরু: লোকসভা ভোটে যে রাজ্যে ভরাডুবি হল কংগ্রেসের, সেই রাজ্যেই স্থানীয় নির্বাচনে চমকপ্রদ ফল করল তারা। ব্যর্থ হল বিজেপি।
গত ২৯ মে কর্নাটকে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ হয়েছে ৮টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, ৩৩টি টাউন মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল ও ২২টি টাউন পঞ্চায়েতে। মোট আসন সংখ্যা ১৩৬১। এই নির্বাচনে ৫০৯টি আসন জিতে প্রথম স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপির ভাগ্যে জুটেছে ৩৬৬টি আসন। অন্য দিকে কংগ্রেসের শরিক জেডিএস জিতেছে ১৭৪টি আসন। একই সঙ্গে নির্দলদের দখলে গিয়েছে ১৫০টি ওয়ার্ড। অথচ সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টিতেই জিতেছিল বিজেপি। অন্য দিকে কংগ্রেস, জেডিএস এবং নির্দলের দখলে গিয়েছিল মাত্র একটি করে আসন। লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে প্রায় ৫১.৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে একেবারে ধরাশায়ী করেছিল গেরুয়া শিবির। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই কংগ্রেস-জেডিএস জোট কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। পুর নির্বাচনের এই জয় কর্নাটক সরকারকে অবশ্যই বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ভোট দিয়েছেন কর্নাটকবাসী। পুর নির্বাচনে স্থানীয় ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে। আর সেই ভোটারই এবার ভোট দিয়েছে কংগ্রেসকে।
লোকসভা ভোটের সঙ্গে স্থানীয় পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের একাধিক ফারাক থাকলেও বিধানসভা গত ভাবে কংগ্রেস-জেডিএসের আসন সংখ্যা ইভিএম বিতর্কে নতুন করে ঘৃতাহুতি করল। লোকসভা নির্বাচনে একাধিক বিরোধী দল ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুললেও কংগ্রেস এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেনি। কিন্তু অন্যান্য বিরোধী দলগুলির অভিযোগ সমানে অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইটের তুলে ধরা তথ্যও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।ওই ওয়েবসাইটের দাবি, লোকসভা ভোটের গণনার সময় দেশের ৩৭৩টি কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা বেশ কয়েকটি তথ্যও তুলে ধরে দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানের সঙ্গে ফারাক দেখা গিয়েছে।
যদিও ভারত ইলেক্ট্রনিক্স্ লিমিটেড (বিইএল)–এর সিএমডি এম ভি গৌতম শনিবার সংস্থার বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা ভোটে সারা দেশের কোনো ইভিএম বা ভিভিপ্যাটের গণনায় কোনো কারচুপি বা গাফিলতি হয়নি। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ইভিএমের জন্য ভারতের গণতন্ত্র বেঁচে রয়েছে। ভিভিপ্যাট ব্যবহার করে আটকানো গিয়েছে ছাপ্পা ভোট। তবে কর্নাটকের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল ফের নতুন করে অস্ত্র তুলে দিল বিরোধীদের হাতে।