ভারতীয় সেনাকে ‘মোদী কি সেনা’ বলে বিতর্কে যোগী,তোপ মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: ফের বিতর্কে বিজেপি। আর বিতর্কের সূত্র ধরেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেনাবাহিনীকে ‘মোদি সেনা’ বলে উল্লেখ করে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের বিতর্ক তৈরি করলেন। কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের পর থেকেই বোঝা গিয়েছিল, লোকসভা ভোটে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। তার প্রমাণও মিলেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীই বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে জাতীয়তাবাদের পালে হাওয়া দিচ্ছেন।রবিবার গাজিয়াবাদে এক জনসভায় যোগী বলেন, ‘কংগ্রেস কি লোগ’ সন্ত্রাসবাদীদের বিরিয়ানি খাওয়ায়। মাসুদ আজহারের মতো জঙ্গিদের সম্মান দেখিয়ে ‘জি’ বলে সম্বোধন করে। কিন্তু মোদীজির সেনা তাদের কেবল গুলি আর গোলা খাওয়ায়। যোগীর দাবি, মোদীর আমলে জঙ্গিদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। কারণ তাদের ঘাঁটিতেই আঘাত হেনেছে সেনাবাহিনী।তাঁর কথায়, কংগ্রেসের আমলে যা ছিল ‘না মুমকিন’ অর্থাৎ অসম্ভব, এখন তা সম্ভব হয়ে উঠেছে। মোদীর জন্যই অসম্ভব হয়েছে সম্ভব।

স্বাভাবিক ভাবেই যোগীর বক্তব্যকে ভাল ভাবে নেয়নি বিরোধীরা। ফুঁসে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ ভাবে নির্লজ্জের মতো সেনাকে নিজের বলে মনে করা আসলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেই অপমান করা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। ওঁরা সবার জন্য। দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করবে।’’ যোগীর রাজ্যে ইলাহাবাদের নাম পাল্টে হয়ে হয়েছে প্রয়াগরাজ। ফৈজাবাদ জেলার নাম পাল্টে করা হয়েছে অযোধ্যা। সেনার ‘অপমান’-এর পাশাপাশি কংগ্রেস আবার খোঁচা দিয়েছে যোগীর নাম পরিবর্তনের অভ্যেস নিয়েও। টুইটারে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীর কটাক্ষ, ‘‘এবার ইন্ডিয়ান আর্মির নাম পাল্টে মোদী কি সেনা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। এটা সেনবাহিনীর অপমান। ওঁরা ভারতের সেনা। প্রচার সর্বস্ব মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আদিত্যনাথকে ক্ষমা চাইতে হবে।’’ যোগী আদিত্যনাথকে তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৯৯ সালে আইসি ৮১৪ নামে একটি বিমান ছিনতাই হওয়ার পরে মাসুদ আজহারকে বিজেপিই ছেড়ে দিয়েছিল। প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীর কথায়, মনে রাখতে হবে, এখন যিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেই অজিত দোভালই মাসুদকে ‘টেররিস্তানে’ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

এনডিটিভির খবর, সেনাদের একাংশও এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন গাজিয়াবাদের জেলাশাসক।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest