Site icon The News Nest

ভারতে ফের জঙ্গি হামলা হলে বিপদ বাড়বে পাকিস্তানের ,স্পষ্ট হুমকি ট্রাম্পের

Trum Ind Pak

ওয়াশিংটন:ভারতে আরেকটা জঙ্গি হামলা হলে ফল ভাল হবে না। পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই চরম বিপাকে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণে ইমরান খান প্রশাসনের ওপর তৈরি হয়েছে তুমুল চাপ। পাকিস্তানে জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে চাপ বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন-সহ শক্তিধর দেশগুলি। চিন ও মধ্যপ্রাচ্য ছাড়া পাকিস্তানের পাশে নেই কেউ। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউজের বার্তায় স্পষ্ট, তাদের হুঁশিয়ারিকে হালকা ভাবে নিলে ভুল করবে পাকিস্তান।হোয়াইট হাউজের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বুধবার জানিয়েছেন, ‘জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে পাকিস্তানকে। এই সন্ত্রাসবাদীরা ফের যাতে হামলা চালাতে না-পারে তা নিশ্চিত করতে হবে তাদেরই।’ হোয়াইট হাউজের তরফে এও স্পষ্ট করা হয়েছে, ‘পাকিস্তান এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে ফের যদি জঙ্গিহানা হয়, তাতে ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে।’

ওয়াশিংটন কী চাইছে, তা স্পষ্ট করে দিয়ে হোয়াইট হাউসের ওই পদস্থ কর্তা বলেছেন, যেটা সকলেরই কাম্য তা হল, নিজেদের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জইশ ও লস্কর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি ও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিক ইসলামাবাদ। আর সেটা হোক প্রমাণসাপেক্ষে।

সন্ত্রাবাদীদের বিরুদ্ধে ইমরান সরকারের চালানো অভিযানে যে ওয়াশিংটন সন্তুষ্ট নয়, তা বুঝিয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউসের ওই পদস্থ কর্তা বলেছেন, ‘‘যা যা হয়েছে, সেই সবই খুব প্রাথমিক স্তরের। জনাকয়েক জঙ্গির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েক জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জইশের কয়েকটি ঘাঁটির উপর সরকারি কর্তৃত্ব কায়েম করেছে ইসালামাবাদ। এই টুকুই। কিন্তু আমরা আরও কিছু সদর্থক ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা দেখতে চাইছি। কারণ, আমরা দেখেছি, আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, কিছু দিন পর তারা ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। তাদের পাকিস্তানে নানা জায়গায় ঘুরতেও দেওয়া হচ্ছে। জনসমাবেশে ভাষণও দিতে দেওয়া হচ্ছে।’’

এর ফলে যে ইসলামাবাদকে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হতে পারে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওই কর্তা। ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঋণের বোঝা হাল্কা করার ব্যাপারে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের কাছে যে আর্জি জানাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের অনীহা থাকলে, তা মেনে নেওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।কিছুদিন আগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছিল আমেরিকা। ফের যাতে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

Exit mobile version