ভারত ‘পরিবেশ সন্ত্রাসবাদ’ চালিয়েছে, অভিযোগে এফআইআর দায়ের করল পাকিস্তান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইসলামাবাদ : বালাকোট এলাকায় বােমা ফেলে ১৯ গাছ ধ্বংসের অভিযোগে
শুক্রবার ভারতের বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করল পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, এফআইআরটি দায়ের করা হয়েছে পাকিস্তানের বন দফতরের পক্ষ থেকে। অজ্ঞাতপরিচয় ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের বিরুদ্ধে এই অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে। | ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, এফআইআর রিপাের্টে লেখা হয়েছে,২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার আকস্মিক বােমা ফেলার কারণে খাইবার পাকতুন এলাকার ১৯ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই রিপাের্টে তারও দাবি করা হয়েছে জাতিসংঘে গিয়ে ভারতের ‘পরিবেশ সন্ত্রাসবাদ’-এর বিরুদ্ধে অভিযােগ জানানাের পরিকল্পনা করেছে ইমরান খান সরকার।
পাকিস্তানের পরিবেশ মন্ত্রী মালিক আমিন তাসলাম জানিয়েছেন,” সংরক্ষিত অরণ্যে বােমা ফেলেছে ভারত। সেই কারণেই আমরা জাতি সংঘ এবং অন্যান্য ফোরামে বিষয়টি নিয়ে অভিযােগ জানানাের কথা ভেবেছি। আমরা মনে করছি, যা হয়েছে তা আসলে পরিবেশ সন্ত্রাসবাদ। বহু পাইন গাছ নষ্ট হয়েছে। পরিবেশের উপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।” জাতি সংঘের আন্তর্জাতিক আইন তানুযায়ী, সামরিক প্রয়ােজনের কারণেও পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না। কূটনৈতিক মহলের মতে- ভারত আইনভঙ্গকারী, এই দাবি করে জাতি সংঘে গিয়ে ‘সিমপ্যাথি’ কুড়ােতে চাইছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে, বালাকোটের জইশ জঙ্গি ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিল পাক প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের এই নিয়ে তিন বার আটকানাে হল।ফলে প্রকৃতপক্ষে জঙ্গি ঘাঁটিতে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা আদৌ কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে তাদূর ভবিষ্যতে ধোঁয়াশা কাটার আশা নেই বললেই চলে। তবে রয়টার্সের দাবি, বালাকোটের যে ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ু। সেনা বােমা ফেলেছিল, বাইরে থেকে দেখে তাতে তেমন কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গিঘাঁটিকে চার দিক থেকেই কড়া প্রহরায় রাখা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পর থেকেই সাংবাদিকরাও নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ওই ঘাঁটিতে ঢােকার। কিন্তু ইসলামাবাদে মিলিটারি প্রেস উইং-এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, আগামী কয়েক দিন ওই এলাকায় নিরাপত্তার কারণে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর আগে দু’বার রয়টার্সের তরফে আনুমােদন চাওয়া হলে নাকচ হয়ে যায়। এবার ফের রয়টার্সের প্রতিনিধিরা ভিতরে ঢােকার জন্য ওই এলাকায় যান। কিন্তু তাঁদের ক্যাম্পের তানেক আগেই আটকে দেন পাক নিরাপত্তা কর্মীরা। রয়টার্সের দাবি, ওই জঙ্গিঘাঁটির প্রায় ১০০ মিটার দূরে তাঁদের প্রতিনিধিদের আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের প্রতিনিধিরা দেখেছেন, ওই ক্যাম্পের ভবনটি অক্ষতই আছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দূর থেকে দেখে মনে হয়নি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest