#নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর দু’টো দফা। এর পরে বিশেষ একটি দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে বিজেপি বিরোধী ২১টি দল।
বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এ বার দেখা গিয়েছে, একক বৃহত্তম দল হিসেবে শেষ করার সম্ভাবনা থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরেই থাকতে পারে বিজেপি। এমনকি এনডিএর শরিক দলগুলিকে নিয়েও সেই সংখ্যা না পেরোনোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অবস্থায় অন্য জোট থেকেও দল ভাঙিয়ে নিজেদের জোটে শামিল করতে পারে বিজেপি। এই ব্যাপারটি আটকানোর জন্যই কোবিন্দের কাছে দরবার করা হতে পারে।বিজেপি বিরোধী ২১টি রাজনৈতিক দল একটি চিঠি লিখে তাতে সই করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক হয়েছে। সেখানে তাঁরা বিকল্প সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। সূত্রের খবর, এই অস্বাভাবিক পদক্ষেপের কারণই হল যাতে একক বৃহত্তম দল হিসাবে কাউকে ডেকে না নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির জোটকে যাতে সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। লোকসভায় ৫৪৩টি নির্বাচিত সদস্য লাগে। আর ম্যাজিক ফিগার হল ২৭২। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ২৮২টি আসন এককভাবে পেয়েছিল। আর এনডিএ জোট করে তা পৌঁছেছিল ৩৩৬ আসনে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণন আহ্বান করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীকে সরকার গঠনের জন্য। তখন সমর্থনের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারপর রাষ্ট্রপতি নারায়ণন তাঁকে ডাকেন আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে সরকার গঠন করার জন্য। তখন বিজেপি জিতেছিল এককভাবে ১৭৮টি আসন। জোট গঠন করে তা হয়েছিল ২৫২ আসনে। আর পাওয়া গিয়েছিল বাইরে থেকে সমর্থন। তবে তা ২০ মাসের পর সরকার পড়ে গিয়েছিল। আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে। যদিও ১টি ভোটের অভাবেই সরকার পড়ে যায়। যা সত্যিই বিরল রাজনীতির ইতিহাসে।
গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে সরকার গঠন নিয়ে নানারকম বিতর্ক তৈরি হতে দেখা গেছে। মণিপুর, গোয়া ও কর্ণাটকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে নির্বাচন-পরবর্তী জোট সরকার গড়বে, না একক বৃহত্তম দল সরকার গঠন করবে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপি-বিরোধী ২১ দলের কোনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট তৈরি না হলেও সবকটি দল একসাথে আছে বলে দাবি করছে।