গত দু’মাস ধরে ভোটের প্রচারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন তিনি। ধকল গিয়েছে যথেষ্ট। তার ওপরে বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে যা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, তাতে বিজেপির বৃহত্তম দল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, সরকার গঠনে বেগ পেতে হতে পারে। সম্ভবত এই সব চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পেতেই কেদার-বদরী সফরে গেলেন মোদী।
শনিবার সকালেই কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কেদারের উন্নয়নের প্রকল্পগুলির কাজ কতটা এগিয়েছে, তা-ও একবার দেখেন মোদী। রবিবার বদরীনাথ যাওয়ার কথা তাঁর। কোনো গুহায় ধ্যানেও বসতে পারেন তিনি। মোদীর অন্যতম প্রিয় স্থান কেদারনাথ। বেশ কয়েক বছর ধরেই নভেম্বরে মন্দির বন্ধ হওয়ার সময়ে নিয়মিত সেখানে যাচ্ছেন মোদী। ২০১৭-তে মন্দির খোলার সময়েও সেখানে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এই যাত্রায় কোনো সমস্যা রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে মত নেওয়ার জন্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস। তবে এই যাত্রাকে সরকারি সফর বলে ব্যাখ্যা করা হয়। এই ব্যাপারে মোদীর সফরকে ছাড়পত্র দিয়েছে কমিশন, তবে নির্বাচনী আচরণবিধির কথা স্মরণ করিয়ে। কমিশনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এটা যে হেতু সরকারি সফর, তাই শুধুমাত্র আচরণবিধির কথা স্মরণ করিয়েই ক্ষান্ত থেকেছে কমিশন। তাঁর এই সফরে শনিবার কেদারনাথে কাটাবেন মোদী, তার পর রবিবার বদরীনাথে কাটিয়ে সোমবার দিল্লি ফিরবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সব থেকে বড়ো চমকটি শুক্রবারই দেন মোদী, যখন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে যান। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটি বিবৃতি ছাড়া কিছুই করেননি মোদী। এমনকি সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে, সেই জবাব দেওয়ার জন্য অমিত শাহকেই এগিয়ে দেন তিনি।