#কলকাতা: সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে ট্যুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন খোদ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এবার নিজের ফেসবুক পেজে অশ্লীল ছবি পোস্ট করে দলের এবং রাজ্য সম্পাদকের বিড়ম্বনায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অন্যায়ভাবে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগে কলকাতায় ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন ভারতীয় কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। পাল্টা মিডল ফিঙ্গার (মধ্যমা) দেখিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন অজি কোচ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে এভাবে মধ্যমা দেখানোর রেওয়াজ ভারতে নতুন। তারপর থেকে কখনও রাজনৈতিক নেতা আবার কখনও কোনও সেলেব্রিটি, বিপদে পড়লেই মধ্যমা দেখানোর পথে গিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন সিপিএমের তরুণ নেতা শতরূপ ঘোষ। সোমবার, ৬ ই মে সকাল ১১ টা নাগাদ নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করেন ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের সিপিএম প্রার্থী শতরূপ। তাতে দেখা যাচ্ছে, তর্জনিতে ভোটের কালি, তার উপর লেখা সিপিএমের নাম এবং উদ্যত মিডল ফিঙ্গারে লেখা বিজেপি-তৃণমূল। যার অর্থ, ভোট সিপিএমকে, বিজেপি-তৃণমূলকে মিডল ফিঙ্গার। শতরূপ ঘোষের এই পোস্টের পরই তাঁর এমন ইঙ্গিতের তীব্র সমালোচনায় মুখর হন নেটিজেনরা। তরুণ নেতার এই পোস্ট নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
পশ্চিমের দেশগুলিতে মধ্যমা দেখানোকে অশ্লীল ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়। বিবিসি বলছে, মিডল ফিঙ্গার প্রদর্শন আসলে মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন অশ্লীল ইঙ্গিত। সম্প্রতিকালে কখনও ব্রিটনি স্পিয়ার্স, কখনও লুইস সুয়ারেজ, গ্রেগ চ্যাপেল কিংবা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র, মধ্যমা উঁচিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বারবার। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে হয়েছে কৃতকর্মের জন্য। এবার একই কাজ করলেন সিপিএমের তরুণ নেতা। এই কাজ যে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা লোকজন, ফেসবুক কমেন্ট দেখলেই তা পরিষ্কার হবে। সিংহভাগ কমেন্টেই তরুণ নেতার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। কোথাও আবার অশ্লীল ইঙ্গিত ছেড়ে তৃণমূল-বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই শতরূপের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করছেন৷ নেটিজেনদের একাংশের দাবি, শতরূপ আদতে যতখানি শিক্ষিত এবং রাজনীতিক জ্ঞানসম্পন্ন বলে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তা আদতে নয়৷ যদি তিনি প্রকৃত শিক্ষিত হতেন তবে এমন অশ্লীল পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করতে পারতেন না৷ কেউ কেউ আবার শতরূপের রুচি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন৷ আবার অনেকেই এই পোস্টের সূত্র ধরে শতরূপের রাজনৈতিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন৷