মন্দির চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির মিটিং। দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক নীতীন আগরওয়াল। আগত কর্মীদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল টিফিনের। সেই টিফিনের বাক্সের মধ্যেই মিলল মদের বোতল। অভিযোগ, খাবারের প্যাকেটে মদের বোতল রেখে আসলে কর্মীদের গোপন উপহার দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ঝড় উঠেছে সব মহলে৷ চরম অস্বস্তিতে বিজেপি৷ দলের তরফে নীতিনের কাজের প্রবল নিন্দা করা হয়েছে৷
ঘটনাচক্রে এই নীতীন আগরওয়াল আবার উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা নরেশ আগরওয়ালের ছেলে। মন্দির চত্বরে আয়োজিত এই বৈঠকে হাজির ছিলেন নরেশ নিজেও। কিছুদিন আগেই সমাজবাদী পার্টি থেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর নিজের এলাকা হারদোই-এই কাণ্ডটি ঘটেছে। নরেশের ছেলে নীতীন আগরওয়াল স্থানীয় বিধায়ক। হরদোইয়ে একটি মন্দিরের সামনে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছিল বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অতিথি, বিজেপির কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা বহু মানুষ। তাঁদের সবার জন্যই ছিল জলযোগের আয়োজন। গ্রামের প্রধানদের মাধ্যমে দেহাতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল খাবারের প্যাকেট। নীতিনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, গ্রাম প্রধানদের খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে সকলে যেন সেই প্যাকেট সংগ্রহ করেন৷এরপর গ্রামের প্রধানদের কাছ থেকে প্যাকেট পেয়ে সেটি খুলে চক্ষু ছানাবড়া গ্রামবাসীদের৷ একজন জানিয়েছেন, প্যাকেটের ভিতর মদের বোতল রাখা৷ একজন নাবালকও সেই খাবারের প্যাকেট পেয়েছে৷ জানিয়েছে, বাবার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে এসেছে৷ খাবারের প্যাকেটে সেও মদের বোতল পেয়েছে৷
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা তুলোধনা করতে শুরু করেছে বিজেপিকে৷ খোদ দলের তরফে এই কাজের নিন্দা করা হয়েছে৷ হারদোই-এর বর্তমান সাংসদ অংশুল বর্মার গলাতেও নিন্দার সুর৷ জানান, বিষয়টি তিনি শীর্ষস্তরের নেতাদের জানাবেন৷ বলেন,’খুবই নিন্দাজনক ঘটনা৷ যাদের হাতে পেন ও পেনসিল তুলে দেওয়ার কথা তাদের হাতে মদের বোতল তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ নরেশ আগরওয়াল কিছুদিন আগে দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন৷ দলকে তো বিষয়টি জানাবই৷ পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখে জানতে চাইব কেন তারা কোনও ব্যবস্থা নিল না?’