মুসলিম বিদ্বেষী ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যে বিশ্বাসী, ফেসবুক পোস্টে জানা গেল হামলাকারীর পরিচয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক : নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ২ মসজিদে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।তবে নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসলিমদের ওপর হামলা চালান ওই বন্দুকধারী। পরে কাছাকাছি শহরতলি লিনউডের মসজিদে হামলা চালানো হয়। তবে দ্বিতীয় মসজিদে হামলাকারী একই ব্যক্তি কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।প্রত্যক্ষদর্শী কারও কারও মতে, হামলাকারী একাধিক ছিলেন। হামলায় জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। একটি গাড়িতে স্থাপন করা বিস্ফোরক উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশ।

বন্দুক নিয়ে হামলা চালানোর কিছু ক্ষণ আগে ২৮ বছরের অস্ট্রেলীয় ওই নাগরিক ইন্টারনেটে একটি ৩৭ পাতার ইস্তাহারও প্রকাশ করে। সেই ইস্তাহারের লাইনে লাইনে ছিল মুসলিম বিদ্বেষ ঘৃণা আর শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের চরম মতাদর্শের কথা।প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, যে বন্দুকবাজ হামলার লাইভ ভিডিয়ো সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করছিল, তার নাম ব্রেন্টন টারান্ট। এই নামে টুইটারেও একটি অ্যাকাউন্ট আছে তার। ফেসবুকেও সে নিজেই ১৭ মিনিট ধরে এই হামলা চালানোর ভিডিয়ো দেখিয়েছে। যদিও হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বন্দুকবাজ যে মতাদর্শ প্রকাশ করেছে, তাতে রয়েছে মোট ৩৭টি পাতা এবং প্রায় ১৬,৫০০ শব্দ। এই ইস্তাহারটিকে সে প্রকাশ করেছে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নাম দিয়ে। সেখানে এই মতাদর্শের মাধ্যমে ‘নতুন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে পদক্ষেপ’ করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদেরকেই পৃথিবী জুড়ে সমস্ত সঙ্কটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউরোপের মাটি থেকে বিদেশিদের তাড়াতে এবং ইউরোপের লক্ষ লক্ষ শ্বেতাঙ্গ মানুষকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে এই ইস্তাহারে। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য নিয়ে একটি স্লোগানও দেওয়া হয়েছে এই ইস্তাহারে। বলা হয়েছে, ‘আমাদের নিজেদের মানুষদের অস্তিত্বের বিষয়টি আমাদেরকেই দেখতে হবে। কারণ, আমাদের শ্বেতাঙ্গ শিশুদের ভবিষ্যত আমাদেরই হাতে।’

এই ভয়াবহ নাশকতার আগের মুহূর্তেও সে ছিল অস্বাভাবিক রকমের শান্ত। মসজিদের সামনে গাড়ি পার্ক করে ভিতরে ঢোকার আগে সে শুরু করে লাইভ ভিডিয়ো। আর শুরুতেই সে বলে, ‘তা হলে শুরু হয়ে যাক আজকের পার্টি।’এর পরই সে বন্দুক হাতে নিয়ে ঢুকে যায় মসজিদের ভিতরে।সেই লাইভ ভিডিয়ো থেকে দেখা যায়, তার বন্দুকে লেখা আছে আলেসান্দ্রে বিসনেত্তা এবং লুকা ত্রাইনির নাম। ২০১৭ সালে কানাডাতে একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ছয় নিরপরাধকে হত্যা করেছিল আলেসান্দ্রে বিসনেত্তা। ২০১৮ সালে ইতালিতে আসা শরণার্থী আফ্রিকানদের উপর গুলি চালিয়েছিল লুকা ত্রাইনি।এর থেকেই স্পষ্ট, কৃষ্ণাঙ্গ এবং মুসলিম বিদ্বেষই  ছিল এই শ্বেতাঙ্গ বন্দুকবাজের মতাদর্শের মূল কথা।

এদিকে নিউ জিল্যান্ড পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে মসজিদে হামলার একটি ভিডিও। সেটি জাল। তা শেয়ার করবেন না।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest