বাঁকুড়া: বৃহস্পতিবার সবার নজর যখন বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড-শোকে ঘিরে, তখন লালমাটির বাঁকুড়ায় প্রচারে লালঝড় তুলল বামফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বামফ্রন্টের অভিনব মহামিছিলের সাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়ার মানুষ। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থী অমিয় পাত্র ও সুনীল খাঁর সমর্থনে এ দিন মহামিছিলে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন বলে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট সূত্রের খবর।
একদা লালদূর্গ বাঁকুড়া আজ তৃণমূলের দখলে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র দু’টি হাতছাড়া হয় সিপিএমের। তৃণমূলের মুনমুন সেনের কাছে বাঁকুড়া কেন্দ্রের ন’বারের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া হেরে যান। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রটিও হাতছাড়া হয় সিপিএমের। নিজেদের পুরোনো ক্ষমতা ফিরে পেতেই এ দিন এই মহামিছিল অনুষ্ঠিত হয় বলেও জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।এ দিন মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এ ছাড়াও রাজ্য ও জেলাস্তরের সমস্ত নেতা-কর্মী এই মিছিলে পা মেলান। সূর্যকান্ত মিশ্রের কথায়, “বিজেপি ও তৃণমূল হল একই মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ। এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। নির্বাচন কমিশনের দয়াদাক্ষিণ্যের উপর নির্ভর না করে শিরদাঁড়া সোজা রেখে সাধারণ মানুষকে ভোটধিকার প্রয়োগ করতে হবে। আক্রমণ হলে প্রতিবাদ থেকে প্রতিরোধ করতে হবে।” এ দিন মহামিছিল শুরু হয় বাঁকুড়ার পাঁচবাগা থেকে শেষ হয় লালবাজারে। মিছিলে আদিবাসী মানুষ, মহিলা এবং যুবক-যুবতী ছিল চোখে পড়ার মতো। বামফ্রন্টের বিভিন্ন দলের লাল পতাকাকে সামনে রেখে সুসজ্জিত এই মিছিল পথ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই দীর্ঘ হয়েছে এর পরিধি।
অন্যদিকে, এদিন জনজোয়ার ভেসে মনোনয়ন জমা দেন দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী নন্দিনী মুখার্জী ও যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য।