নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করলেন এক মহিলা। বুধবার রাতে খড়দহের পাতুলিয়া এলাকার এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, রাতে ছেলেকে টিউটোরিয়াল হোমে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন গৃহবধূ। পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি তিনি। চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। অভিযুক্তরা এখনও অধরা। মহিলার শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবমন্দির এলাকায় থাকেন বছর চল্লিশের ওই গৃহবধূ। বুধবার সন্ধে আটটা নাগাদ ছেলেকে টিউটোরিয়াল হোমে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। তাঁর অভিযোগ, শিবমন্দিরের কাছে পথ আটকায় দুই যুবক। তাদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। এরপরই জোর করে রাস্তার পাশে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে নিয়ে গিয়ে চলে অত্যাচার। ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার দাবি, রাস্তা থেকে দু’জন টেনে নিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে আরও দু’জন ছিল। অত্যাচার চালানোর পর সেখান থেকে কোনও রকমে পালিয়ে এসে এক পরিচিতের বাড়িতে দরজায় কড়া নাড়েন তিনি। কিন্তু দরজা খোলার আগেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। ওই বাড়ির লোকজনই তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠান। মহিলাকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরাই। মহিলার দাবি, ‘ঘটনার সময় দুষ্কৃতীরা বলছিল, ওকে মেরে ফেল। ওর স্বামী বড় নেতা হয়ে গিয়েছে।’ওই মহিলার স্বামী স্থানীয় বিজেপি নেতা হিসেবেই পরিচিত।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই মহিলার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ট্রমায় রয়েছেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। অভিযুক্তরা পলাতক।অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন খড়দহ থানার পুলিশ।তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, মহিলার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বয়ান রেকর্ড করা হবে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।