নয়াদিল্লি : বিগত কয়েক বছর বিদ্বেষ থাবা বসিয়েছে এদেশের সংস্কৃতিতে। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের খবর সংবাদের শিরোনাম দখল করেছে। গো-পাচারের ভুয়ো অভিযোগে পিটিয়ে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এসবের বিরুদ্ধে মুখ খোলা মুসলিম বিদ্বজন দের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা বলেছে গেরুয়া শিবির। একই হুমকি দেওয়া হয়েছে সাধারণ মুসলিমদের। কিন্তু এবার আর কোন হুমকি নয়। ভারতীয় মুসলমানদের ‘পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার’ আর্জি নিয়ে একেবারে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির হয়েছেন এক ব্যাক্তি।
‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রোহিংটন নরিম্যান এবং বিচারপতি বিনীত সারান-এর এজলাসে। , আবেদনটি শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি নরিম্যান। তিনি আবেদনকারীর আইনজীবীকে বলেছেন, মামলার বিষয়বস্তুটি জোরে জোরে পড়তে। আইনজীবী সেটি করার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিচারপতি মামলাকারীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি সত্যিই এটা নিয়ে শুনানি চান? আমরা শুনব, কিন্তু আপনার কড়া ভর্ৎসনা করব।’’ বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাবে উত্তর আসে ‘না’। তার পরে আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়।
Petition in Supreme Court to send Indian Muslims to Pakistan: Justice Rohinton Nariman blasts the petitioner.
"Do you seriously want to argue this matter", Nariman J. to lawyer.
"No", says lawyer.
Dismissed. @barandbench
— Murali Krishnan (@legaljournalist) March 15, 2019
গত বছর ডিসেম্বর মাসে মেঘালয়ের হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেন বলেছিলেন , দেশ ভাগের পর ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল। তাঁর এই মন্তব্য নতুন বিতর্কের শুরু করে। বিচারপতি এস আর সেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েক জন আইনজীবি।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী , চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এস আর সেনের ওই বক্তব্যকে খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠানো হয়। দেশে সাম্প্রদায়িক ঘৃণার পরিসর গত কয়েক বছরে যে ভাবে বেড়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন সমাজের সব স্তরের মানুষ। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন বিচারপতি নরিম্যানের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত অনেকে। টুইটারে অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন।অনেকের দাবি, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ওই ব্যাক্তিকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হোক।