মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বরখাস্ত হওয়া বিএসএফ জওয়ান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: সেনার খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিপাকে পড়েছিলেন বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব। সেটা ছিল ২০১৭-র জানুয়ারি মাসের ঘটনা। ফের খবরের শিরোনামে তেজ বাহাদুর। কারণ, তিনি এ বারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী করছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বেছে নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই।লক্ষ্য, সেনার অন্দরের দুর্নীতি দূর করে, স্বচ্ছতা আনা। সেনা জওয়ানদের প্রতি সরকারের অবিচারের প্রতিবাদ করা।

২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে সেনা কর্মীদের নিম্নমানের খাবারের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি । জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে কর্মরত তেজবাহাদুর উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধেও নানাবিধ অভিযোগ তুলেছিলেন । পাশাপাশি মানসিক নিপীড়নের কথাও বলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ নিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ স্বার্থে তাঁকে বদলি করে দেওয়ার পাশাপাশি বিএসএফের একটি বিবৃতিতে তাঁর আচরণ নিয়ে প্রথমে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ঊর্ধ্বতন অফিসারের দিকে বন্দুক তাক করার অপরাধে ২০১০ সালে তাঁকে কোর্ট মার্শাল করা হয়েছিল। তার পর তেজ বাহাদুরের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও তেজের অভিযোগ নিয়ে বিএসএফ-এর কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিলেন ।এর পর বিএসএফের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে এনে তেজ বাহাদুরকে বরখাস্ত করে বিএসএফ।

জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমের কাছে  তেজ বাহাদুর জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে তাঁকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তিনি সিদ্ধান্ত নেন, অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে না-গিয়ে তিনি নির্দল হিসাবেই বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।সংবাদ মাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করে, এ ভাবে একজন হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে জামানত জব্দও তো হতে পারে? প্রত্যুত্তরে তেজ বাহাদুর বলেন, “মোদী জওয়ানদের নাম করে ভোট চাইছেন। কিন্তু সেনার জন্য তিনি কিছুই করেননি”।তেজ বাহাদুর যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, শীঘ্রই তিনি বারাণসী যাবেন, প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং কৃষকদের নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন। তেজ বাহাদুরের দাবি, “আমার বহিষ্কার সম্পূর্ণ ভুল। অন্তত আমার তোলা অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত করতে পারত। সেটা ওরা করেনি, এতেই প্রমাণ হয়, এই দলটা একটা দুর্নীতি নির্ভর দল।”

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest